আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন বলে উলেস্নখ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়সরণিতে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের মিলনায়তনে বিশ্ব আবহাওয়া দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, এ বছর আবহাওয়া দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, 'অ্যাট দ্য ফ্রন্টলাইন অব ক্লাইমেট অ্যাকশন'। এ প্রতিপাদ্যের আলোকে আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আমাদের কর্মকান্ডে পরিবেশ ও জলবায়ুর ওপর কি প্রভাব পড়তে পাড়ে, তা সর্বাগ্রে বিবেচনায় নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের সবার প্রজ্ঞা ও শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করি, এমন ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য কাজি করি, যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো প্রশমিত হয় এবং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই ও নিরাপদ বিশ্ব গড়ে তুলি।
কৃষিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী দিনের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস, বার্তা ও পদক্ষেপ আমাদের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় আর বেশি অবদান রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
উৎপাদক এবং ভোক্তা পর্যায়ে দামের বিরাট পার্থক্যের কারণ কি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এর কারণ আগে যারা উৎপাদন করে, আর যারা বাজারজাত করে দুই পক্ষকে জিজ্ঞেস করতে হবে। তাহলে এর উত্তর পাবেন। কৃষিমন্ত্রী উৎপাদনের সময় তাদের বাড়িতে থাকে না, বাজারজাত করার সময়ও পরিবহণের কোনো পার্ট না। আমরা চাই ভোক্তার চাহিদা পূরণ এবং কৃষিপণ্য উৎপাদক যেন ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত না হয়। এ দুইয়ের সমন্বয় হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য।
কৃষি বিপণন কর্পোরেশন ২৯টি কৃষিপণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কেন পিছিয়ে এলো এমন প্রশ্ন মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পরিচালক মো. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশ্ব আবহাওয়া দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব গোলাম মো. হাসিবুল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রধান ড. মো. শামীম হাসান ভূইয়া বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু সম্পর্কিত সার্বিক কার্যক্রম সংবলিত একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।