শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি বলেছেন, খাল পুনঃখননের ফলে বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে পস্নাবিত কৃষি জমির পানি দ্রম্নত নেমে যাবে। কৃষি ক্ষেত্রে ঘটবে বৈপস্নবিক পরিবর্তন। তবে ঠিকাদারদের কাজের মান শিডিউল অনুযায়ী করতে হবে, কোনো ধরনের নয়- ছয় করে পার পাওয়া যাবে না।
প্রতিমন্ত্রী শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া ইউনিয়নের মাহালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের মাধ্যমে সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সাতকানিয়ার বাজালিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত মাহালিয়া খালের ৩ কিলোমিটার পুনঃখনন কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও জনগণ এক সঙ্গে মিলেমিশে খাল খননের কাজ নিয়মিত তদারকি করবেন। এছাড়া কৃষকদের উৎপাদিত শাকসবজি সহজেই বাজারজাতের সুবিধার্থে খালের পাড়ে রাস্তা নির্মাণ করার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
বিএডিসি চট্টগ্রাম রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী ফাতেমা আক্তার জেনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের মধ্যে তাপস কান্তি দত্ত, আ.ফ.ম মাহাবুবুল হক সিকদার ওসমান আলী ও নাছির উদ্দীন টিপু।
সভাপতির বক্তব্যে বিএডিসি'র চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী ফাতেমা আক্তার জেনি বলেন, মাহালিয়া খালের ৩ কিলোমিটার এলাকা পুনঃখননের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৭ লাখ টাকা। কাজ শুরুর ৯০ দিনের মধ্যে খনন কাজ শেষ করতে হবে। ১০ মিটার প্রশস্ত এবং খালের নিয়মতান্ত্রিক গভীরতা অনুযায়ী খালটি খনন করা হবে। কুমিলস্না জেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স খাজা এন্টারপ্রাইজ এ খনন কাজটি সম্পন্ন করবেন।
বিএডিসি দোহাজারী জোনের সহকারী প্রকৌশলী বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা মাস্টার মোহাম্মদ ইউনুচ, হাকিম আলী, ওসমান গনি শিকদার ও এফ এম আতাউল হক, মাস্টার মো. মহিউদ্দিন, নাজিম উদ্দীন, যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম, হাবিব আহমদ মনসুর, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আলী, সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম আমিন ও আবুল কালামসহ স্থানীয় কৃষক ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।