সাদা পোশাকে যুবককে তুলে নিয়ে টাকা দাবি, এএসআই বরখাস্ত

প্রকাশ | ২৪ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

রামগতি (লক্ষ্ণীপুর) প্রতিনিধি
লক্ষ্ণীপুরের কমলনগর থানায় তথ্য না দিয়ে সাদা পোশাকে আলমগীর নামে এক যুবককে তুলে নিয়ে ৬০ হাজার টাকা দাবির ঘটনায় পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমিনুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় কমলনগর থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করেন। জানা গেছে, গত ১৯ মার্চ রাত সাড়ে ১১টায় রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের চরসীতা গ্রাম থেকে আলমগীর হোসেন নামে এক যুবককে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ৪-৫ জন লোক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় তুলে আনার অভিযোগ ওঠে। আলমগীর ওই এলাকার কালামিয়া সর্দারের ছেলে ও পেশায় তিনি একজন কৃষক। আলমগীরের স্ত্রী শাহিদা বেগম সাংবাদিকদের জানান, তুলে নেওয়ার ২-৩ ঘণ্টা পর আলমগীরের মোবাইল ফোন থেকে তাকে কল করা হয়। মোবাইল ফোনে যিনি কথা বলছিলেন তিনি তার কাছ থেকে আলমগীরকে ছেড়ে দিতে ৬০ হাজার টাকা দাবি করেন। আর ওই টাকা নিয়ে কমলনগরের ফজুমিয়ারহাট-লরেন্স সড়কের পাশে যাওয়ার জন্য বলেন। নিরুপায় হয়ে তিনি স্বামীকে বাঁচাতে টাকা নিয়ে স্থানীয় মেম্বারসহ কয়েকজনকে নিয়ে ঘটনাস্থল যান। তখন পরিচয় জানতে চাইলে তাদের সঙ্গে পুলিশের সোর্সদের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে আমিনুল ইসলাম তাকে পুলিশ দাবি করে কমলনগর থানার এএসআই বলে পরিচয় দেন। চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, আলমগীর একসময় গাঁজা সেবন করতেন। তখন তার বিরুদ্ধে ২-১টি মামলা হয়েছে। এখন আর গাঁজা সেবন করেন না। আলমগীর কৃষিকাজ করেন। অভিযোগ অস্বীকার করে এএসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, 'সোর্সের মাধ্যমে জানতে পারি আলমগীর গাঁজা বিক্রি করছিল। এতে তাকে আটক করে নিয়ে আসি। এ সময় তার আত্মীয়স্বজন তার ওপর হামলা করে। এক পর্যায়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।' কমলনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল জলিল বলেন, এএসআই আমিনুল থানায় কোনো ধরনের তথ্য না দিয়েই সাদা পোশাকে একজনকে আটক করেন। বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ সুপার তাৎক্ষণিক তাকে সাসপেন্ড করেছেন।