রমজানের ১১ থেকে ১২ যেতে না যেতেই ঈদ উপলক্ষে নতুন কাপড়-চোপড় কিনতে নীলফামারীর সৈয়দপুরের বাজারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়েছে। তবে সে তুলনায় কেনা-বেচা তেমন একটা জমে ওঠেনি। কাটা কাপড়ের দোকানগুলোতে কাপড়, শাড়ি কিনতে ক্রেতাদের দেখলেও দাম অনেক বেশি বলে জানান ক্রেতারা। যদিও দোকানদাররা জানান, বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে। অন্যদিকে, গার্মেন্টেস দোকান মালিকরা জানান, ক্রেতাদের তেমন একটা আনাগোনা নেই। তাছাড়া মোকামে দাম বেশি হওয়ায় কাপড়ের দাম বেশি। তাই কাস্টমাররা তেমন একটা আগ্রহ পাচ্ছেন না। তবে যেহেতু রেলের শহর সৈয়দপুর, তাই চাকরিজীবীরা বেতন-বোনাস পেলে কেনাকাটা জমে উঠবে বলে তারা আশা করছেন।
এদিকে স্যান্ডেল-জুতার দোকানগুলোতেও তেমন ক্রেতাদের কোনো আনাগোনা শুরুই হয়নি। তবে ২০ রমজানের পর কেনাকাটা জমে উঠবে বলে জুতা-স্যান্ডেল ব্যবসায়ীরা আশা প্রকাশ করেছেন।
থ্যাঙ্কস ক্লথ মার্কেটের বেশ কয়েকজন দোকানদার জানান, ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন, দেখছেন কাপড়-চোপড়ের দাম যাচাই করছেন। যারা চাকরি করেন মাসের প্রথম সপ্তাহ হওয়ায় তারাই টুকটাক কেনাকাটা করছেন। এদিকে শহীদ ডা. শামসুল হক সড়কে অবস্থিত নিম্ন আয়ের লোকজনদের জন্য দোকানগুলোরও একই অবস্থা। তারা জানান, নিম্ন আয়ের বিশেষ করে গ্রামের গরিব লোকজন তাদের দোকান থেকে কাপড়-চোপড় কেনেন। কিন্তু এখনো তারা কেনাকাটা শুরু করেননি। তবে তারা ২০ রমজানের পর থেকে কেনাকাটা শুরু করবেন।
এদিকে, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষজন এমনিতেই বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়ায় দিশাহারা জীবন যাপন করছেন। তারা ঈদের কেনাকাটা করবেন না নিজের অন্নের চিন্তা করবেন তা নিয়েও চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। কুন্দল গ্রামের নূরুল হুদা ও রমজান, কাজীপাড়ার মান্নান, বসুনিয়া পাড়ার সফিক, ব্রহ্মোত্তরের পচা জানান, এখনো কেনাকাটা নিয়ে কোনো চিন্তাও করেননি। তবে এলাকার বোদ্ধা মহল মনে করছেন ২০ রমজানের পর কেনাকাটা জমে উঠবে।