আড়াইহাজারে যত্রতত্র জুয়ার আড্ডা, বাড়ছে চুরি-ডাকাতি

প্রকাশ | ২৩ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে অর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য যত্রতত্র জুয়ার আড্ডা বসাচ্ছে এলাকার জুয়াড়িরা। এদের সঙ্গে আড্ডা দেয় এলাকার চোর-ডাকাতেরাও। ফলে এলাকায় ব্যাপক হারে চুরি ডাকাতি বেড়ে গেছে। গত দুই দিনে অন্তত ১১ জন জুয়াড়িকে বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করে কোর্টে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর মধ্যে হাইজাদী ইউনিয়নের মাধবদী এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে ৭ জুয়াড়িকে এবং অপর চারজনকে আটক করা হয় আড়াইহাজার পৌরসভার গাজীপুরা এলাকা থেকে। এর পরও জুয়াড়িরা থেমে নেই। পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে গ্রেপ্তারকৃত জুয়াড়িরা হচ্ছে, মাধবদী গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে শাহপরাণ (৩৫), জাকির হোসেন (৩২), আ. আজিজের ছেলে জলিল (৩২), আ. মালেকের ছেলে মহিদুল ইসলাম (৪২), বারেকের ছেলে হজরত আলী (৩৫), তমিজউদ্দিনের ছেলে আয়নাল হক (৫৫) এবং রূপগঞ্জের নাসির কল এলাকার হারাধন চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে নয়ন চন্দ্র বিশ্বাস (৪২)। রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের নগরজোয়ার গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীরের বাড়িতে একদল ডাকাত হানা দেয়। ডাকাতের উপস্থিতি টের পেয়ে গ্রামবাসি একত্রিত হয়ে ডাকাত দলকে প্রতিহত করায় ডাকাতদল পিছু হটতে বাধ্য হয়। তাছাড়া এলাকায় ছোটখাটো চুরি ডাকাতির ঘটনা তো ঘটছেই। এলাকাবাসী জানায়, যারা এলাকায় রাতভর জুয়ার আড্ডা বসায় তাদের সঙ্গে এলাকার চোর-ডাকাতদের বিশেষ সখ্যতা রয়েছে। তাদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েই ডাকাতেরা বিভিন্ন্ন বাড়িতে ও রাস্তাঘাটে ডাকাতি ও ছিনতাই করতে যায়। এরই মধ্যে রোববার রাতে সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর ইউনিয়নের বাঘারি গ্রামে গণপিটুনিতে চার ডাকাত নিহত হয় এবং এক ডাকাত আহত হয়ে পঙ্গু হাসপাতালে মৃতু্যর সঙ্গে লড়ছে। এদের মধ্যে নিহত আ. রহিম (৪৮) আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ঝাউকান্দি নিতাইটেক গ্রামের শামসুল হকের ছেলে, নিহত নবী হোসেন একই উপজেলার গোপালদী পৌরসভার জালাকান্দি গ্রামের মজিদের ছেলে নবী হোসেন (৩৫) এবং আহত মোহাম্মদ আলী (৩৮) একই গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে। মাধবদী এলাকাটি সোনারগাঁ এবং আড়াইহাজার উপজেলার সীমানাবর্তী হওয়ায় দুই উপজেলার অনেক ডাকাত এ এলাকায় এসে জুয়াড়িদের সঙ্গে আড্ডা দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। আড়াইহাজার থানার ওসি মোহাম্মদ আহসানউলস্নাহ বলেন, জুয়া আর চুরি-ডাকাতি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। তাই জুয়াড়িদের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।