বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৫৭নং নাড়াপালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তাটি বন্ধ করে ইটের প্রাচীর নির্মাণ করায় বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ধানের জমির সরু আইল দিয়ে কাদা-পানি মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে। এই ধানের আইল ছাড়া বিদ্যালয়ে প্রবেশ করার আর কোনো বিকল্প রাস্তা নাই। সামনে বর্ষা মৌসুমে বিদ্যালয়ে নৌকা ছাড়া যাতায়াত করা অসম্ভব হয়ে যাবে।
সরেজমিন গেলে স্থানীয়রা জানান, সারিয়াকান্দি হতে কুতুবপুর যাওয়ার প্রধান সড়ক থেকে শুরু হয়ে কর্নিবাড়ী দ্বিমুখী ফাজিল মাদ্রাসার মাঠ দিয়ে, নাড়াপালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিরাপদে যাতায়াত করত, শিক্ষক ও ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।
কিন্তু যাতায়াতের একমাত্র মাঠটি কর্নিবাড়ী দ্বিমুখী ফাজিল মাদ্রাসার হওয়ায়। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের অংশে সীমানা পাচির নির্মাণ করে বন্ধ করে দিয়েছে। এখন নাড়াপালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাস্তাটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।
রাস্তাবন্ধ করা প্রসঙ্গে নাড়াপালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ বলেন, 'দুটি প্রতিষ্ঠানি সরকারের আমার বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসার মাঠটি দিয়ে যাতায়াত করে। মাঠে খেলাধুলা করে এখন যা পাচিল দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। এখন আমাদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কি ভাবে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করবে।'
কর্নিবাড়ী ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি ফরহাদ হোসেন বলেন, 'আমার মাদ্রাসায় অডিট আসছে। আমি অডিট নিয়ে ব্যস্ত আছি।'
এ বিষয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুজন বলেন, 'মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ যে কাজটা করেছে এটা একদম অন্যায় একটা কাজ। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সীমানা পাচির ভেঙ্গে দিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের রাস্তাটি খুলে দেওয়া কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।'
কর্নিবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন দিপন বলেন, এরকম হাজারো প্রতিষ্ঠান আছে যারা একি সঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কলেজ এক মাঠেই থাকে। এখানে যে কাজটি হয়েছে এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক একটি কাজ হয়েছে।'
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমান বলেন, 'নাড়াপালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লিখিত আবেদন করতে বলেছি। আবেদন করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'