মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নানা সমস্যায় জর্জরিত তালোড়া রেল স্টেশন

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি
  ২৩ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া রেল স্টেশন -যাযাদি

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া রেল স্টেশন জেলার মধ্যে অন্যতম একটি রেল স্টেশন। জেলা শহর বগুড়া ও সান্তাহার রেলওয়ে জংশনের পরেই এ স্টেশনের সুনাম রয়েছে। এ স্টেশন থেকে বিপুল সংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করায় সরকারও প্রচুর রাজস্ব পায়। তারপরেও স্টেশনটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। এতে করে যাত্রীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

জানা যায়, দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদর হতে প্রায় সাত কিলোমিটার দক্ষিণে তালোড়া রেল স্টেশন। ট্রেনযোগে যাতায়াত সুবিধাজনক ও ভাড়া তুলনামূলক কম হওয়ায় এ উপজেলা এবং পার্শ্ববর্তী অন্য উপজেলা হতে অনেক যাত্রী এ রেলস্টেশন দিয়ে যাতায়াত করেন।

স্বাধীনতার পূর্ব হতে পরবর্তী ৯০-এর দশক পর্যন্ত এ রেলস্টেশন দিয়ে আরও বেশি যাত্রী যাতায়াত ও মালামাল আনা-নেওয়া করত। বর্তমানে প্রতিদিন দু'টি আন্তঃনগর এক্সপ্রেসসহ মোট ১০টি ট্রেন এ রেলস্টেশনে যাত্রা বিরতি করে। প্রতিদিন প্রায় আট শতাধিক যাত্রী যাতায়াত করে। এছাড়া এ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্রসহ অন্যান্য মালামালও আনা-নেওয়া করা হয়। এতে করে সরকার রাজস্ব পায় প্রচুর।

এত কিছুর পরেও স্টেশনটি বর্তমানে নানা সমস্যায় জর্জরিত। পস্নাটফর্মের ওপর টিনের যাত্রী ছাউনী ঝাঁঝরা হয়ে খসে পড়ায় ওই স্থান ফাঁকা হয়ে গেছে।

সামান্য বৃষ্টি হলেই পানির কারণে যাত্রীরা পস্নাটফর্মের নিচে অবস্থান করতে পারে না। স্টেশনে অবস্থিত যাত্রী বিশ্রামাগারের ছাদ চুইয়ে পানি পড়ায় বিশ্রামাগারও যাত্রী থাকার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পস্নাটফর্মের মাঝখানে সিগন্যাল ক্যাবিনের সামনে যে স্থান দিয়ে সিগন্যালের তার সংযোগ করা হয়েছে ওই স্থানে পস্নাটফর্মের সিমেন্টের পাটাতন ভেঙে যাওয়ায় সেখানে লোহার শিট স্থাপন করা হয়েছে।

ভারী মালামাল পস্নাটফর্মের ওপর দিয়ে ওঠা-নামানোর সময় ওই শিট দুলতে থাকে। এছাড়া রেল লাইন সংলগ্ন পস্নাটফর্মের বেশ কিছু সিমেন্টের পাটাতন ভেঙে যাওয়ায় ট্রেনে ওঠা-নামার সময় দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।

ট্রেন যাত্রী আবুল কাশেম ও মাহফুজার রহমান জানান, প্রতিদিন এ রেলস্টেশন দিয়ে বহু যাত্রী জেলা শহর বগুড়াসহ দেশের অন্য স্থানে যাতায়াত করে। অথচ স্টেশনের টিনের ছাউনী ফুটো হওয়ায় ও যাত্রী বিশ্রামাগারের পানি চুইয়ে পড়ায় তাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এসব মেরামত না করলে বর্ষাকাল আসলে যাত্রীদের আরও বিপাকে পড়তে হবে।

এক সময় তালোড়া রেলস্টেশনে এক সঙ্গে চারটি ট্রেন দাঁড়ানোর রেল লাইন স্থাপন করা ছিল। এখন তিনটি ট্রেন এক সঙ্গে এ স্টেশনে যাত্রা বিরতির ব্যবস্থা রয়েছে। পস্নাটফর্মের দক্ষিণ পার্শ্বে ৩নং রেল লাইনের ধারে ঝুঁকি নিয়ে অনেক দোকানি দোকানদারি করছেন।

এ ব্যাপারে তালোড়া স্টেশন মাস্টার ইনচার্জ মারুফা শারমিন বলেন, স্টেশনের এ সমস্যাগুলো সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, কর্তৃপক্ষ তা সমাধানে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে