কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় প্রতিদিন বিভিন্ন পেশার লোকজন ঝুঁকিতে যাতায়াত করে যাচ্ছে মাগনামা থেকে বড়ঘোপ ও দরবার ঘাট। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও কুতুবদিয়াবাসির এখনো হয়নি কোনো সুরাহা। ফলে নদীর মাঝখানে অসুস্থ রোগী ও ডেলিভারি মায়ের মৃতু্যর ঘটনা ঘটেছে প্রতিনিয়ত।
এদিকে ঘণ্টা-আধাঘণ্টা পর পর ছোট ডেনিশবোট যাত্রী নিয়ে পারাপার হলেও স্পিডবোটে দিতে হয় বাড়তি টাকা। দ্বীপবাসী বর্ষার মৌসুমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করলেও দুঃখের শেষ নেই। আরও কত বছর গেলে ফেরি পাবে কুতুবদিয়ার মানুষ, তা এখনো অজানা।
শিক্ষায় জেলায় শীর্ষে অবস্থানে থাকাসহ উপজেলায় মৎস্য, লবণ, কৃষি ও পর্যটনে রাজস্ব খাতে ভূমিকা রাখলেও দুই লক্ষাধিক মানুষের চরম কষ্টে নদী পারাপার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানি আনার ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগের মুখোমুখি হচ্ছে।
কুতুবদিয়ার সবজি ব্যবসায়ী ফারুক আহমেদ জানান, 'আমরা প্রায় সময় চট্টগ্রাম থেকে মালামাল নিয়ে আসি নৌকা করে। কিন্তু ঘাটে এসে আমরা থমকে যাই। ঘাট থেকে মালামাল বহন করতে আমাদের অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয়। নিঃস্ব হয়ে, কোনো উপায় না পেয়ে তা সহ্য করে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি।
তবে সরকার যদি একটা ফেরিঘাটের ব্যবস্থা করে দেয়, তাহলে দ্বীপের যত ব্যবসায়ী আছে সবাই উপকৃত হবে।'
কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উলস্নাহ রফিক জানান, 'এটি কুতুবদিয়ার দুই লাখ মানুষের প্রাণের দাবি। আমরা এ বিষয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, এটি মন্ত্রণালয়েও কাজ চলতেছে। আশা করছি দ্রম্নততম সময়ে হয়ে যাবে। তবে এখানে একটা বিষয়, সেটি হলো ফেরি চলাচলের জন্য যে ঘাট থাকা দরকার সেই ঘাটগুলো নাই। তাই কুতুবদিয়া-মগনামার দুই দিকে আগে ঘাটের (জেটি) ব্যবস্থা করতে হবে।'