২০ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা
শাহজাদপুরে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সবুজ ধানের সমারোহ
প্রকাশ | ২৩ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
এম.এ জাফর লিটন, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ)
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের দিগন্তজোড়া মাঠে শোভা পাচ্ছে সবুজ ধানের ক্ষেত। যেদিকে চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজের সমারোহ। হিমেল বাতাসে মিষ্টি রোদের সঙ্গে হাসছে কৃষকের স্বপ্ন। সবুজ প্রকৃতি সবাইকে যেন মুগ্ধ করে তুলেছে।
উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের প্রতিটি মাঠ এখন কৃষকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে। প্রতিটি মাঠ এখন কৃষকের সবুজ স্বপ্নে ছেয়ে গেছে। ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকের মুখে এখন হাসির ঝিলিক। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এবার চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২০ হাজার ১ শত ২০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা উপজেলা কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদপ্তর ও কৃষকের।
এদিকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বোরো ও উফশি প্রণোদনা এবং ডিলারদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ সার পাওয়ায় কৃষকরা অনেকটা আশ্বস্ত হয়েছেন। চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো চাষের সময় সার ও বিদ্যুৎ-এর জন্য আপাতত কোনো ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না কৃষকদের।
উপজেলার পোতাজিয়া গ্রামের বোরো চাষি মোহাম্মদ আলী বলেন, অন্য বারের তুলনায় এবার আমরা বেশি বোরো ধান চাষ করেছি। এবারে বোরো চাষের আগে শ্রমিকের একটু সংকট থাকলেও সার ও বিদ্যুৎ-এর কোনো ঝামেলা হয়নি। আশা করছি, এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে।
উপজেলার বেলতৈল গ্রামের কৃষক সোলায়মান হোসেন বলেন, ধান গাছে সময়মতো পানি, সার ও কীটনাশক দেওয়ায় এখন গাছ সবুজ বর্ণ ধারণ করেছে। চারদিকে যেন সবুজের সমারোহ। যেদিকে তাকাই দৃষ্টি যেন জুড়িয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, এবারে আমাদের এলাকায় বোরো ধানে এখন তেমন কোনো পোকার আক্রমণ নেই।
শাহজাদপুর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, 'ইরি-বোরো ধান চাষে আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। অধিক ফলনের জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট হতে আমরা সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছি। ফলে আমরা আশা করছি, এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। আমাদের উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।'