লিচুর রাজ্য দিনাজপুরে ফুটতে শুরু করেছে মুকুল
প্রকাশ | ২২ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
লিচুর রাজ্য হিসেবে খ্যাত দিনাজপুর জেলায় গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে থোকায় থোকায় মুকুল। মুকুলে পরাগায়ণে ব্যস্ত মৌমাছির দল। সুন্দর অপরূপ রূপে সেজেছে দিনাজপুরের লিচু বাগানগুলো। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার লিচুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে সারাদেশে কমবেশি লিচু চাষ হলেও দিনাজপুরের লিচুর আলাদা কদর রয়েছে দেশজুড়ে। রসালো এই লিচু অনেকের কাছে প্রকৃতির রসগোলস্না হিসেবেও পরিচিত। দিনাজপুরের লিচু চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবছর দিনাজপুরের লিচু দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে। লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরই জেলায় লিচু চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে এবারও দিনাজপুরে রেকর্ড পরিমাণ লিচুর ফলন হবে বলে তাদের আশা। দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রমতে, এবার জেলায় ৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার উৎপাদন ২৭ হাজার মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে। দিনাজপুরের লিচু সুস্বাদু ও মিষ্টি হওয়ায় দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে গত বছর রপ্তানি হয় বিদেশেও। এ বছর এরই মধ্যে লিচু গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। কোন সময়ে কীটনাশক, বালাইনাশক ব্যবহার করা উচিত সেই পরামর্শ কৃষি বিভাগ লিচু চাষিদের দিচ্ছে। দিনাজপুরের লিচুর মধ্যে চায়না থ্রি, বেদেনা, বোম্বাই, মাদ্রাজি, গোলাপি ও কাঁঠালি উলেস্নখযোগ্য। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে এবার এসব প্রজাতির লিচুর বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা। দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে মুকুলের সঙ্গে ফুলে ফুলে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত। জেলার যেসব স্থানে লিচু চাষ হয় তার মধ্যে সদর, বিরল, বোচাগঞ্জ, কাহারোল, চিরিরবন্দর, বীরগঞ্জ, খানসামা উপজেলা অন্যতম। বর্তমানে লিচু চাষিরা বাগান পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।