ডেঙ্গুতে মৃতু্য বেশি 'চিকিৎসা না পেয়ে': মেয়র তাপস
প্রকাশ | ২১ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মৃতু্য হার বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে 'যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ার' অভিযোগ এনেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার দুপুরে ভূতের গলি সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।
এক প্রশ্নের মেয়র বলেন, 'যে বিষয়টা সবচেয়ে পীড়াদায়ক তা হলো যে, গত বছর মৃতু্যর হার খুবই বেড়ে গিয়েছিল। সেই ক্ষেত্রে আমরা বলেছি, স্বাস্থ্যসেবাকে আরও নিশ্চিত করতে হবে। গত বছর কিছু বিষয় আমরা লক্ষ্য করেছি, রোগীদের প্রাথমিক পর্যায়ে বলা হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বাসায় গিয়ে চিকিৎসা করলেও চলবে।'
'পরবর্তীতে দেখা গেছে সেই রোগীর পরিস্থিতি আরও বেশি খারাপ হয়েছে। পরে তিনি যখন ভর্তি হয়েছেন, তখন দেখা গেছে তাকে সেভাবে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া যায়নি। এতে করে মৃতু্যর হার বেড়ে গেছে।'
মেয়র তাপস পৃথিবীর অনেক দেশের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে বলেন, 'ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারাবিশ্বে বিশেষ করে, যেসব দেশে মৌসুমি বৃষ্টি হয় তথা বর্ষা প্রবণ অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে এইডিস মশা বেশি হয়।'
'সেসব দেশের তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে আমরা দেখেছি, তাদের তুলনায় আমাদের ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে আমাদের দেশে মৃতু্যর সংখ্যা অনেক বেশি। তাহলে বোঝা যাচ্ছে যে, আমাদের দেশে রোগীরা স্বাস্থ্যসেবাটা সঠিকভাবে পাচ্ছে না।'
মেয়র তাপস বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার পরামর্শই কাল হয়েছে।
২০১৯ সালে ঢাকা শহরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৫৫ হাজারের মতো হলেও মৃতু্য হয়েছিল ২০০-এর নিচে। গত বছর ঢাকা শহরে রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১০ হাজার। কিন্তু মৃতু্য ১ হাজার ৭০০-এর বেশি।
মেয়র বলেন, 'পরিসংখ্যান থেকে এটা স্পষ্ট যে, স্বাস্থ্যসেবাকে আমাদের আরও গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করব। সে বিষয়ে সিটি করপোরেশন পর্যাপ্ত কাজ করছে। আমাদের পরিধি অনেক বৃদ্ধি করেছি।'
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে আরও বেশি কঠোরতা দেখানো হবে বলেও জানান মেয়র তাপস।
ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আওলাদ হোসেন, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানসহ কর্মকর্তা ও কাউন্সিলররাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।