চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ-রায়পুর আঞ্চলিক সড়ক

ছয়মাস না পেরোতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের পিচ

প্রকাশ | ২১ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
নির্মাণের ছয়মাস পেরোতেই সড়কের পিচ উঠে ক্রমশ ক্ষতচিহ্ন ফুঠে উঠছে জনগুরুত্বপূর্ণ চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ-রায়পুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে। আবার অনেক স্থানে পিচ উঠে উঁচু হয়ে আছে। যার ফলে ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। প্রায় সময়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যানবাহনগুলো। ইতেমধ্যেই কয়েকদফা এসব মেরামত করা হলেও কদিন পরেই পুরানো বা নতুন কোনো স্থানে সড়কের পিচ উঠে যাচ্ছে। এসব নিয়ে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী লোকজনকে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে দেখা গেছে। যদিও চাঁদপুর সড়ক বিভাগ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে গর্ত মেরামতের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানিয়েছে। জানা গেছে, চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ-রায়পুর সড়কের ১৭ কিলোমিটার নির্মাণ কাজ গত ৬ মাস আগে শেষ করে হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষের কয়েকমাসের মধ্যেই আস্তে আস্তে সড়কের বিভিন্ন অংশের কোথাও পিচ উঁচু হয়ে গেছে, কোথাও পিচ সরে গিয়েছে। গত ছয়মাসে এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ইতেমধ্যেই উঁচু হয়ে যাওয়া অংশগুলো কর্তৃপক্ষ মেরামত করলেও কিছুদিন পর সেগুলোও আগের অবস্থানে ফিরে যাচ্ছে। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, গর্ত এবং পিচ উঠে উঁচু হওয়ার কারণে অধিকাংশ যানবাহন পাশ কাটিয়ে চলে। তবে বড় ধররেন যানাবহন ওই গর্তের ওপর দিয়ে চলার কারণে খুব দ্রম্নত পিচ উঠে মানচিত্রের মতে বড় হচ্ছে এবং সড়কের পুরানো পিচ ঢালাই দেখা যাচ্ছে। সড়কটি ব্যবহারকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক আনোয়ার, আবুল হোসেনসহ কয়েকজন বলেন, 'কাজের সময় দেখে আমরা খুশি হয়েছিলাম। এখনই সড়ক নষ্ট হয় যাচ্ছে। আমাদের মতো ছোটযানগুলোকে মাঝে মধ্যেই বিপদে পড়তে হয় এসবের কারণে।' স্বল্পদূরত্বের অটোবাইক চালক আলমগীর হোসেন বলেন, এটি একটি ব্যস্ত সড়ক। চাঁদপুর-লক্ষ্ণীপুর, চট্টগ্রামসহ বহু জেলার যাত্রীবাহী বাস এবং মালবাহী গাড়ি চলে। বিশেষ করে এই সড়ক দিয়ে প্রচুর পরিমাণে ছোট গাড়ি চলে। সড়কের কাজ ভালো হয়নি। চাঁদপুর গ্রামের ফাহাদ আলম বলেন, এটি একটি ব্যস্ততম সড়ক। সড়কটির কাজের সময় কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে নজরদারি না করায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধ ছাড়া ভালো কাজ সম্ভব নয়। ধানুয়া গ্রামের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বলেন, সড়কটির দক্ষিণ ধানুয়া ঈদগাঁ থেকে শুরু করে উপজেলার ভাঙাপুল পর্যন্ত বেশি গর্ত হয়েছে। মেশিন দিয়ে সড়ক ঢালাই দিয়েছে। কাজ ভালো হলে কমপক্ষে ৩-৪ বছর রাস্তা ভালো থাকার কথা। চাঁদপুর সওজ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ওয়াছিউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, 'চাঁদপুর-রায়পুর সড়কের পিচ উঠে যাওয়ার বিষয়ে আমরা অবগত। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দ্রম্নত মেরামত করার জন্য বলা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেডের সিকিউরিটি মানি ৩ বছরের জন্য জমা আছে। তারাই কাজটি মেরামত করবে।'