নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে গণপিটুনীতে নিহত আড়াইহাজারের তিন ডাকাতসহ গুরুতর আহত এক ডাকাতের প্রত্যেকের নামে একটি করে ডাকাতি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মঙ্গল ও বুধবার পর্যায়ক্রমে নিহত তিন ডাকাতের নিজ নিজ এলাকায় জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হলেও লোকজনের তেমন অংশ গ্রহণ লক্ষ্য করা যায়নি। এদিকে ওই ঘটনায় নিহত চার ডাকাতের মধ্যে ৩ জনসহ আহত একজনের বাড়িও আড়াইহাজারের বিভিন্ন এলাকায়। সর্বশেষ যে লাশটি সনাক্ত হয় তিনি হলেন উপজেলার ডাকাতপ্রবণ গ্রাম হিসেবে পরিচিত মরদাসাদী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে শের আলী (৪২)।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাতে সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের বাঘারী গ্রামের বড় বিলপাড় এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতির সময় মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজন জড়ো হয়ে ডাকাত দলকে ঘেরাও করে গণপিটুনী দিলে ঘটনাস্থলে ৩ ডাকাত এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর এক ডাকাতের মৃতু্য হয়। অপর এক ডাকাত গুরুতর আহত অবস্থায় পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে নিহত তিন ডাকাতসহ আহত চার ডাকাতের বাড়ি আড়াইহাজার উপজেলায়। নিহত একজন উপজেলার কালাপাহাড়িয়ার ঝাউকান্দির মৃত শামসুল হকের ছেলে আব্দুর রহিম (৪৮), একজন জালাকান্দী এলাকার মজিদ হোসেনের ছেলে নবী হোসেন (৩৫), অপরজন মরদাসাদী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে শের আলী (৪২)। আহত ডাকাত মোহাম্মদ আলী (৩৮) জালাকান্দী এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে। এদের প্রত্যেকের নামে একটি করে ডাকাতি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। নিহত ডাকাত নবী হোসেনের দুই ভাই দুই বোন। বাবা-মা নেই। তিনি ৬-৭ বছর ধরে মদনপুর এলাকায় ভাড়া থাকতেন। মঙ্গলবার দুপুরে তার বোন নাজমা লাশ গ্রহণ করেন।
নিহত ডাকাত শের আলী সম্পর্কে স্থানীয় মেম্বার শাহীন জানান, ৫-৬ দিন আগে শের আলী কারাগার থেকে মুক্তি পান। নিহত হওয়ার পর তার ভাতিজা লাশ গ্রহণ করেন। সন্ধ্যার পর নিহতদের লাশ এলাকায় আসলে জানাজা শেষে তাদের দাফন করা হয়। প্রত্যেকের পরিবারের সদস্য ছাড়া সেখানে তেমন কোনো লোকজন ছিলেন না।