নানিয়ারচরে অনুমোদন ছাড়া তেল ও গ্যাস বিক্রি
প্রকাশ | ২১ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
নানিয়ারচর (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
রাঙামাটির নানিয়ারচরে অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি তেল ও গ্যাস। বাড়ছে জ্বালানি তেল বিক্রির অবৈধ দোকানের সংখ্যাও। এর ফলে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
দেখা যায়, নানিয়ারচর সদর, বগাছড়ি, ইসলামপুর, ঘিলাছড়ি, বুড়িঘাটে জ্বালানি তেল বিক্রির বৈধ লাইসেন্স ও অনুমোদন ছাড়াই বিক্রয় করা হচ্ছে। সব নিয়মনীতি উপেক্ষা করে শুধু নানিয়ারচর উপজেলায় ২০টির বেশি ছোট বড় জ্বালানি তেল বা পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থ ও গ্যাস বিক্রির দোকান গড়ে উঠেছে। এসব দোকান যেমন অবৈধ, তেমনি এদের তেল সংগ্রহ পদ্ধতিও অবৈধ। এছাড়াও ইউনিয়নগুলোতে রয়েছে অগণিত অবৈধ দোকান।
বুড়িঘাটি ঘুরে জানা যায়, পেট্রোলিয়াম সংক্রান্ত আইন অনুসারে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়া কোনো দোকানে জ্বালানি তেল বিক্রি করা যাবে না। অথচ সাধারণ ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে, এমন কি কোনো বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই এসব প্রতিষ্ঠান ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারি এসব নীতিমালার তোয়াক্কা না করেই নানিয়ারচরে সর্বত্র ছোটবড় বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে দাহ্য পদার্থ। আর এভাবে খোলা জ্বালানি তেল ও গ্যাস বিক্রিতে সাধারণ মানুষ থাকে প্রতিটি মুহূর্তে আতঙ্ক উৎকণ্ঠায়। মুদি দোকান ও বিভিন্ন দোকানেও চলছে অকটেন, ডিজেল, পেট্রোল ও কেরোসিন ও গ্যাস বিক্রি। বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প থেকে সংগৃহীত এবং চোরাইপথে আসা গ্যাস কনডেনসেট বা তলানিসহ অন্য নিম্নমানের পদার্থ মিশিয়ে তেল বিক্রি হয়। মাপে কম দেওয়াও অবৈধ তেল ব্যবসায়ীদের আরেকটি প্রবণতা।
ভুক্তভোগীরা জানান, এসব নিম্নমানের ভেজাল তেল ব্যবহার করায় গাড়ির ইঞ্জিনের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। পাশাপাশি এর কালো ধোঁয়ায় পরিবেশও দূষিত হচ্ছে। এই তেলে যাত্রীদের চোখ জ্বলে এবং ইঞ্জিন থেকেও বেশি শব্দ হয়। এসব ভেজাল চোরাই তেলে গাড়ির মাইলেজ কমে যায়।
রাঙামাটি ফায়ার স্টেশন কর্মকর্তা দিদারুল আলম জানান, সরকারি বৈধভাবে অনুমতিপত্র নিয়ে বিক্রি করা যেতে পারে। তেল দাহ্য পদার্থ হওয়ায় যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। নানিয়ারচরে অনেক স্থানে অনুমোদন বিহীন তেলের দোকান গড়ে উঠেছে। এসব দোকানে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা জিনিসপত্র নেই। যে কোনো সময় আগুন লাগার মত সম্ভবনা রয়েছে।
নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিমুল এহসান খান বলেন, অবৈধ জ্বালানি ও গ্যাস সরবরাহ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।