বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
চিকনদন্ডী স্টুয়ার্ড ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সীমানা জটিলতা

রাতের আঁধারে দখলের চেষ্টা অধিকাংশ জায়গার হদিস নেই

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
  ২১ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
রাতের আঁধারে দখলের চেষ্টা অধিকাংশ জায়গার হদিস নেই

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়নের স্টুয়ার্ড ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভূমি বালু ভরাটের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে দখলের পাঁয়তারা করছে একটি চক্র। সুযোগ পেলেই রাতের আঁধারে অবস্থিত ভবনের পেছনের পুকুরের অংশে বালু ফেলছে তারা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওই জায়গার পশ্চিমে সীমানা প্রাচীর ও দক্ষিণাংশে ভবন থাকলেও উত্তরাংশ ও পূর্ব পাশে নিজস্ব কোনো সীমানা প্রাচীর না থাকায় তা দখলের চেষ্টা করে বারবার।

সরেজমিন জানা গেছে, সম্প্রতি কে বা কারা উত্তরাংশে রাতের আঁধারে বালু দিয়ে কয়েক ফুট জায়গা ভরাট করে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরতরা নিষেধ করলেও তা আমলে নেয়নি। জানতে চাইলে চিকনদন্ডী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন বলেন, 'সমস্যাটা দীর্ঘদিনের। স্থানীয় কয়েকজন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পেছনের জায়গা নিজেদের দাবি করে দখলের চেষ্টা করলে আমরা বাধা দেই। কাগজপত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পরামর্শ দিলে তারা পিছু হটে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রশ্মি চাকমা বলেন, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সিভিল সার্জনকে জানানো হবে। গত বছর জায়গা পরিমাপ করার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং স্থাবর-অস্থাবর ভূমি বেদখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো অগ্রগতী হয়নি।

জানা গেছে, ১৯৭৫ সালের ৭ জানুয়ারি ব্যক্তি মালিকানাধীন স্টুয়ার্ড ইউনিয়ন দাতব্য চিকিৎসালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে ওই এলাকার শামসুল আলম নামে এক ব্যক্তি এক একর ৫২ শতাংশ ভূমি দানপত্রের মাধ্যমে হস্তান্তর করেন। কিন্তু সেই ভূমি ২০০৪ সালের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দখলে মাত্র ৩০ শতাংশ জায়গা বিদ্যমান। ওই সময়ে বেদখল দেখানো হয়েছিল ২২ শতাংশ। অন্যদিকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নামে বর্তমানে বিএস জরিপের ৩০২৩ নম্বর খতিয়ানে ৪৪ শতাংশ জায়গা। যার হাসপাতাল ২৯ ও পুকুর ১৫ শতাংশ। এদিকে দীর্ঘ চার যুগ পার হলেও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মালিকানা জায়গার প্রকৃত পরিমাণ কিংবা কি কারণে বিএস নামজারি খতিয়ানে জায়গার পরিমাণ এত কম এবং কেন এত জায়গা বেদখল তার রহস্য উদঘাটন হয়নি। ২০১৫ সালে ১০ শয্যার হাসপাতাল করার জন্য মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তদন্তে সীমানা জটিতলতার কারণে তা চাপা পড়ে যায়। আশা করছি দ্রম্নত এ সমস্যা নিরসন হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম মশিউজ্জামান বলেন, খুব শিগগিরই পরিমাপ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভূমি যার কাছেই দখল থাকুক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে