রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১

নকলার পাঁচ ভিক্ষুক পেলেন 'বিকল্প কর্মসংস্থান ব্যবস্থা'

নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
  ২১ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
শেরপুরের নকলায় পাঁচ ভিক্ষুককে বিকল্প কর্মসংস্থানের উপকরণ তুলে দিচ্ছেন ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন -যাযাদি

মহান স্বাধীনতার মাসে ভিক্ষুকমুক্ত শেরপুরের নকলা গড়ার প্রত্যয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ৫ জন ভিক্ষুককে সেলাই মেশিন, কাপড়, ছাগল ও মালামালসহ মনোহারি টিনের দোকান উপহার দেওয়া হয়েছে। বিকল্প কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাদের এই দোকানঘরগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন।

বুধবার উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এসব উপহার তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিন। এ সময় উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমীন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, যায়যায়দিনের সাংবাদিক শফিউল আলম লাভলুসহ উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

কাজাইকাটা গ্রামের উপকারভোগী কামরুল হাসান বলেন, 'আমি অন্ধ হওয়ায় কোনো কাজকর্ম করতে পারি না। সমাজের বিত্তবানদের কাছে হাত পেতে সংসার চালাতাম। আমার মেয়ে সেলাই মেশিনের কাজ জানে। তাই সমাজসেবা অফিস থেকে আমাকে সেলাই মেশিন ও কাপড় দিয়েছে। এখন থেকে মেয়ের বানানো কাপড় বিক্রি করে সংসার চালাব। আর মানুষের কাছে হাত পাতব না।'

পাঠাকাটা গ্রামের উপকারভোগী শেফালী ও বিলকিস বলেন, 'এখন আর কোনো কাজ করতে পারি না। গত ৫-৬ বছর ধরে ভিক্ষা করতাম। স্যারেরা মালামালসহ মনোহারি টিনের দোকান উপহার দিয়েছে। এখন আর ভিক্ষা করার কোনো ইচ্ছে নেই। ব্যবসা করে সংসার চালাব।'

চন্দ্রকোনা এলাকার উপকারভোগী জামেলা ও গৌড়দ্বারের ছুলাইমান বলেন. 'আমরা ৮-১০ বছর ধরে ভিক্ষা করি। এখন আর তেমন ভিক্ষা করতে পারি না। এখন স্যারেরা দুইটা করে ছাগল দিয়েছে। এগুলো লালন-পালন করে কোনো মতন সংসার চালাতে পারব।'

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিন বলেন, সরকারের একটি লক্ষ্য হলো পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় নিয়ে আসা। এই মহান স্বাধীনতার মাসে ৫ ভিক্ষুককে সেলাই মেশিন, কাপড়, ছাগল ও মালামালসহ মনোহারি টিনের দোকান উপহার দেওয়া হলো। এসব দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো যাতে তারা ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে আসতে পারেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে