আজমিরীগঞ্জে স্বাস্থ্য প্রশাসনকে উপেক্ষা করে চলছে অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার
প্রকাশ | ২০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
আজমিরীগঞ্জে মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সের কারণে তালাবদ্ধ করে দেওয়া বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম। ফলে যে কোনো সময় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন হাওড়াঞ্চলের লোকজন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি- তাদের কাগজপত্র সঠিক রয়েছে। অন্যদিকে স্বাস্থ্য প্রশাসন জানিয়েছে- অবৈধ প্রতিষ্ঠান তারা ইতোমধ্যে বন্ধ করে দিয়েছে।
তথ্য অনুসন্ধানে উঠে আসে, জেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের তালিকাভুক্ত ১২২টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে দুটির অবস্থান আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সদরে। এগুলো হল- নিউ মেডিল্যার হাসপাতাল ও আজমিরীগঞ্জ ডায়াগনস্টিক সেন্টার। নিউ মেডিল্যাব হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন মাসে শেষ হয়ে গেছে। অন্যদিকে আজমিরীগঞ্জ ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে অবৈধ বিবেচনায় তালাবদ্ধ করে দেয় প্রশাসন।
এদিকে পপুলার মিনিল্যাব নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠান চালানো হচ্ছে সরকারি কোনো দপ্তরের অনুমতি না নিয়েই। এ প্রতিষ্ঠানকেও বন্ধ করা হয়েছে বলে দাবি স্বাস্থ্য প্রশাসনের। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি অনুমতির কাগজপত্রে ত্রম্নটি রেখেই হাওড়াঞ্চলের মানুষকে নানা রকম চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে কড়া হুশিয়ারি দেওয়ার পরও কারও কোন ভ্রম্নক্ষেপ নেই। প্রভাবশালীরা ক্ষমতা খাটিয়ে অবৈধ হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেন বলেন, 'আমরা ইতিমধ্যে পরিদর্শন করে অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি। এই ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু থাকার প্রমাণ দেখাতে পারলে ব্যবস্থা নেব।'
তবে গত সোমবার দুপুরে দেখা যায়, আজমিরীগঞ্জ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম দিব্যি চলছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, 'সর্ষের মধ্যে ভূত থাকলে তাড়াবে কে স্বাস্থ্য বিভাগ ইচ্ছে করলে এসব অবৈধ ক্লিনিক হাসপাতাল বন্ধ করে দিতে পারে। কিন্তু কোন অদৃশ্য কারণে এসব চালু আছে সেটা কর্তৃপক্ষই ভালো জানে।