সখীপুরে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি

এক রাতে কয়েক বাড়িতে চুরি অটোরিকশা, টাকাসহ স্বর্ণালংকার লুট

প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের সখীপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো এলাকায় বিভিন্ন অপরাধে সখীপুর থানায় অভিযোগ জমা হচ্ছে। সখীপুরে এক রাতে দু'টি বাড়ি থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার কচুয়া পূর্বপাড়া এলাকার আবু তালেবের উপার্জনের একমাত্র সম্বল অটোরিকশা নিয়ে যায় চোরচক্র। গাড়ির মালিক আবু তালেব জানান, প্রতিদিনের মতো গাড়ি উঠানে রেখে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন। আনুমানিক রাত ২টার দিকে বাইরে মানুষের আনাগোনা শুনে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। বাইরে দরজার শিকল লাগানো থাকায় কয়েক মিনিট বিলম্ব হয় তার। কিন্তু বের হতে হতে চোরচক্রটি তার গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে একই এলাকার মোতালেব হোসেনের বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে করে পরিবারের লোকদের অচেতন করে নগদ ৫ লাখ টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। বাড়ির মালিক মোতালেব হোসেন জানান, 'রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শরীর দুর্বল থাকায় তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। স্ত্রীর চিৎকারে ঘুম ভেঙে দেখতে পাই ঘরের সবকিছু এলোমেলো। ঘটনার পর থেকে বাড়ির প্রায় সব সদস্যই অসুস্থ হয়ে পড়েছে।' অন্যদিকে উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের হাবীবুর রহমানের ছেলে জয়নাল আবেদীনকে চেতনানাশক দিয়ে অচেতন করে অটোরিকশা নেওয়ার সময় এলাকার লোকজন টের পাওয়ায় চোরচক্র পালিয়ে যায়। অটোরিকশা চালককে অচেতন অবস্থায় ভর্তি করা হয় সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জয়নাল আবেদীনের জ্ঞান ফেরেনি। এদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, ইদানীং চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চুরি প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া গত সাতদিনে দেখা যায়, মাদকাসক্ত ছেলের হাতে খুন, উপজেলার কচুয়া পুকুরপাড়, মহানন্দপুর এলাকা থেকে ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে কচুয়া বাজার, বড়চওনা বাজার থেকে মোটর সাইকেল এবং বংকি থেকে জুমার দিন আরেকটি মোটর সাইকেল চুরি হয়। অন্যদিকে একটি শিশু ধর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঘটনায় সখীপুর থানার ওসি শেখ শাহিনুর রহমান জানান, খুন এবং ধর্ষণের আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোটর সাইকেল চুরির আসামি গ্রেপ্তার না হলেও তিন ট্রান্সফরমার চোর ধরা পড়েছে। কিছু চুরির বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাননি, অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবেন।