কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালংয়ের পাতাবাড়ী এলাকায় প্রান্তিক চাষিদের জন্য সরকারিভাবে অনুমোদিত কৃষি সেচ স্কিম কতিপয় প্রভাবশালীদের দ্বারা জোরপূর্বক দখল করার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে বোরো মৌসুমে বিপুল পরিমাণ জমির চাষাবাদে পানি সরবরাহ ও সেচ প্রদান অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় চাষিরা।
ক্ষতিগ্রস্ত সেচ স্কিমের মালিক আবু তাহের এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছেন।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাতাবাড়ি এলাকার মৃত সোনা আলীর ছেলে আবু তাহের উপজেলা কৃষি ও সেচ ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমোদিত সেচ স্কিম পরিচালনা করে আসছেন। বিগত ২০০৫ হতে প্রান্তিক চাষিদের অনাবাদি জমি শুষ্ক মৌসুমে আবাদ করার লক্ষ্যে গভীর নলকূপ স্থাপন ও বিদু্যৎ সংযোগের মাধ্যমে গত ১৮ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে পানি সরবরাহ বা সেচ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রায় ৮ একর অনাবাদি জমি চাষাবাদের আওতায় আসতে সক্ষম হয়েছে।
ইউএনও'কে দেওয়া লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সরকার অনুমোদিত ওই সেচ স্কিম চলতি বোরো মৌসুমে একই এলাকার প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তি জবরদস্তি তাদের দখলে নেন। আবু তাহের এতে বাধা দিলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
স্থানীয় প্রবীণ চাষি ফকির আহমদ (৮৬) জানান, 'দীর্ঘ এক যুগের অধিক সময় আবু তাহের শুষ্ক মৌসুমে সেচ স্কিমের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করে আসছিলেন। এলাকার কৃষকরা স্কিমে চাষাবাদ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। চলতি মৌসুমে একটি পক্ষ স্কিমটি কেড়ে নিয়েছে বলে শুনেছি।' একই এলাকার প্রান্তিক চাষি জাফর আলম (৬৫) ও রুস্তম আলীও একই কথা জানান।
আবু তাহের অভিযোগ করে বলেন, 'প্রভাবশালীরা জোরপূর্বক আমার বৈধ সেচ স্কিমটি কেড়ে নেয়। এ কারণে একদিকে কৃষকরা শুষ্ক মৌসুমে চাষাবাদ থেকে বঞ্চিত হয়েছে, অন্যদিকে দুইটি গভীর নলকূপ ও বিদু্যৎ সংযোগসহ সেচ মিটার অকেজো হয়ে পড়েছে। এতে করে তিন লক্ষাধিক টাকা ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবার এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।