মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স

ধারণ ক্ষমতার চেয়ে সেবা গ্রহীতার সংখ্যা বেশি

প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
মতলব উওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে বর্তমানে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে সেবা গ্রহীতার সংখ্যা বেশি। ভৌগলিক অবস্থান এবং সেবার মান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রটি আস্থা অর্জন করেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের বহির্বিভাগ, আন্তর্বিভাগ এবং রোগীর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সেবার মান বৃদ্ধি এবং চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের আন্তরিকতার কারণে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ছুটে আসেন এই হাসপাতালে। ৩১ শষ্যা থেকে ৫০ শষ্যায় উন্নিত হওয়ার কার্যক্রম চলছে। বর্তমানে হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে রোগী ভর্তি থাকে ৪৫-৫০জন। মাঝে মধ্যে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬০-৬৫ জনে। প্রয়োজনীয় ও মূল্যবান ওষুধের সরবরাহ এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসক থাকার কারণে প্রতিদিন হাসাপাতালের বহির্বিভাগে সেবা নিতে আসেন ৪৫০-৫০০ জন রোগী। প্রযুক্তির মাধ্যমে ভিডিও কলের মাধ্যমে রোগী দেখার প্রস্থতি চলছে। এছাড়াও এন.সি.ডি কর্ণার, জিন এক্সপার্ট মেশিন, আট্রাসনোগ্রাম, প্যাথলজিক্যাল ল্যাব, এক্স-রে, দন্ত চিকিৎসা এবং শিশুদের স্বাস্থ্য সেবার আইএমসিআই কর্ণার, যক্ষা রোগীদের সেবা ও ওষুধ বিতরণের ব্যবস্থা। প্রসুতি মায়েদের প্রসব পূর্ব ও পরবর্তী সেবা প্রদানে রয়েছে এএনসি কর্ণার। হাসপাতালটিতে প্রসূতি মায়েদের সেবায় চালু রয়েছে সিজারিয়ান অপারেশন। যদিও বর্তমানে অপারেশনের চেয়ে নরমাল ডেলিভারির সংখ্যাই বেশি। সেবা নিতে আসা ভর্তি রোগীদের জন্য রয়েছে পুরুষ ওয়ার্ড, মহিলা ওয়ার্ড, শিশু ওয়ার্ড ও আইসোলেটেড ডেঙ্গু ওয়ার্ড। জেনারেল সার্জারির পাশাপাশি রয়েছে পোস্ট অপারেটিভ কক্ষ এবং সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা। আর এ সব সেবার জন্যই আসেন মতলব উত্তরের জনগণ। সরেজমিনে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা ওটারচর গ্রামের রফিক মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলে, 'আমার উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রয়েছে। ভালো সেবা পাই, তাই এখানে আসি।' একই কথা বলেন, লবারকান্দি গ্রামে রহিমা বেগম। হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা গজরা গ্রামের শান্তা বেগম বলেন, 'হাসপাতালে আলট্রাসনোগ্রাম করেছি, এখন রক্ত পরীক্ষার জন্য এসেছি।' ওটারচর গ্রামের লতিফ মিয়াজি জানান, 'সরকারি হাসপাতাল সম্পর্কে আমার পূর্বের ধারনা পাল্টে দিয়েছে। এ সময়ে আমি আমার এক আত্মীয়কে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম অনেক। সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে সেবার মান ভালো।' উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান জুয়েল জানান, '৩১ শষ্যার লোকবল দিয়ে আমরা সেবার কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। ৫০ শষ্যার করার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। হাসপাতাল পরিচালনায় সীমাবদ্ধতা থাকলেও আমরা সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছি।'