ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রম্নপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় গ্রম্নপের অন্তত ১৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় একপক্ষের নেতা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি ইমারত হোসেন পিকুল মোল্যাসহ উভয়দলের ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
গত রোববার সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উপজেলার রামকান্তুপুর ইউনিয়নের মদনদিয়া এলাকায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রামকান্তুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইশারত হোসেনের সঙ্গে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি ইমারত হোসেন পিকুলের দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জেরে ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই দিন আগে পিকুলের সমর্থক ফজলু মাতুব্বরের সঙ্গে ইশারতের সমর্থক ওমর মোল্যার কথাকাটাকাটি ও মারামারি হয়। একপর্যায় গত রোববার সন্ধ্যায় ইফতারের পর উভয় গ্রম্নপের কয়েকশ' সমর্থক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উভয় গ্রম্নপের দফায় দফায় চলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। এতে উভয় গ্রম্নপের অন্তত ১৬ জন আহত হন।
সালথা থানার ওসি ফায়েজুর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত উভয় পক্ষের ১১ জনকে আটক করা হয়। বর্তমানে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
একপক্ষের নেতা ইমারত হোসেন পিকুল মোল্যার আটকের বিষয়ে তিনি বলেন, পিকুল মোল্যাকে আটক করা হয়েছে। প্রতিপক্ষ ইউপি চেয়ারম্যান ইশারত হোসেনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল নগরকান্দা) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল গণমাধ্যমকে বলেন, খবর পেয়ে ওসিসহ সঙ্গীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শর্টগানের ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৬টি টেঁটা, ১০টি কাতরা, ১১টি বাঁশের লাঠি, পাঁচটি ঢাল ও একটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে।