বাগেরহাট জেলা যুবদলের ১৩ নেতাকর্মীকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও বিভিন্ন অপরাধে চার জেলা থেকে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। যশোর, ফরিদপুরের বোয়ালমারী, নেত্রকোনার দুর্গাপুর, কুমিলস্নার নাঙ্গলকোট ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আঞ্চলিক অফিস ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-
খুলনা অফিস জানিয়েছে, খুলনার্ যাব-৬ যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকা থেকে ২৯৯ বোতল ফেনসিডিলসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে।
র্
যাব-৬ জানায়, তাদের একটি আভিযানিক দল গত রোববার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের মাধ্যমে তথ্য পায়, যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানাধীন ৫নং পুটখালী ইউনিয়নের পুটখালী গ্রামের একটি বাড়িতে কতিপয় ব্যবসায়ী ফেনসিডিল বিক্রির জন্য মজুত করেছেন। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি রাতেই সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানে বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে সুমন রহমানকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে। আসামির বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে।
বাগেরহাট সদর প্রতিনিধি জানান, বাগেরহাটে নাশকতা মামলায় জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি শিকদার হারুন আল রশিদ ও সহ-সাধারণ সম্পাদক লায়ন জিয়াউর রহমানসহ ১৩ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার বাগেরহাট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক মো. ওসমান গণি।
কারাগারে প্রেরিত নেতারা হলেন যুবদলের সাবেক সভাপতি শিকদার হারুন আল রশিদ ও সহ-সাধারণ সম্পাদক লায়ন জিয়াউর রহমান, মোলস্নাহাট উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মুরাদ হোসেন চৌধুরী, আসলাম মোলস্না, রিপন শেখ ওরফে ফোরকান, শরিফুজ্জামান শিমুল, মাইনুল শরীফ, হাসান শেখ, রুবেল মোলস্না, আত্তাব শেখ, কামরুল শিকদার, জিয়া শেখ ও রিয়াজুল ইসলাম।
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি জানান, ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে ৪৪০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার এবং দু'জনকে আটক করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। গত রোববার উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ি বাজার এলাকা থেকে ওই ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ সময় ট্রাভেল ব্যাগে করে বহনের অপরাধে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন উপজেলার খামারপাড়া গ্রামের হান্নান শেখের ছেলে নাজমুল শেখ (২৪) এবং রতনদিয়া গ্রামের ছামাদ শেখের ছেলে শওকত আলী (২৯)।
এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামীম হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি জানান, নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে আনা ১ হাজার ৯০৪ কেজি ভারতীয় আনার ফল জব্দসহ চোরাকারবারির এক সদ্যসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জব্দ ফলের বাজার মূল্য ৫ লাখ ৭২ হাজার ৪০০ টাকা বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সোমবার গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত রোববার রাতে দুর্গাপুর পৌর শহরের মধ্য বাজারের পান মহল এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরাই পণ্য আনারসহ ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম আলী আকবর (৬৫)। তিনি উপজেলার চকলেঙ্গুরা এলাকার মৃত সুরজত আলীর ছেলে।
নাঙ্গলকোট (কুমিলস্না) প্রতিনিধি জানান, কুমিলস্নার নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে চোরাই পাঁচটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করেছে। এ সময় চুরির সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার থানা কর্তৃক আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ওসি দেবাশীষ চৌধুরী। ধৃত ব্যক্তিরা হলেন জহিরুল ইসলাম (২০), ছফি উলস্নাহ (৩২), শাহাদাত হোসেন (২৭) এবং জিয়াউল হক (২৭)। তাদের কাছ থেকে পাঁচটি চোরাইকৃত মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৭ লাখ ৮১ হাজার টাকা।
ওসি দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ধৃত ব্যক্তিরা চোরাই মোটর সাইকেল ক্রয় বিক্রয়ের সক্রিয় সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ ফরেস্ট চেক পোস্টের কর্মকর্তারা ৫ লাখ টাকার গোল সেগুন কাঠ উদ্ধার করেছে। এ সময় কাভার্ডভ্যানসহ পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ার থানার মাছুরা গ্রামের শাহ আলম হাওলাদারের ছেলে মেহেদি হাসান (৩০) নামে চালককে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার সোনারগাঁ ফরেস্ট চেক পোস্ট স্টেশন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, সঙ্গীয় সহকর্মীদের নিয়ে নিয়মিত টহলকালীন সময় কাভার্ডভ্যানটি সন্দেহ হলে তলস্নাশী চালানো হয়। এ সময় কাঠের বন বিভাগের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় কাভার্ডভ্যানসহ কাঠ ও চালককে আটক করা হয়। পরে সোমবার বন আইনে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে।