চিতলমারীতে সূর্যমুখি চাষে লাভবান চাষি
প্রকাশ | ১৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
ধান, গম ও নানা প্রকার সবজি চাষের পাশাপাশি সূর্যমুখি চাষের মাধ্যমে বিশুদ্ধ তেল উৎপাদনে ভূমিকা রাখছেন চাষিরা। এছাড়া সূর্যমুখি তেলের ব্যাপক চাহিদা ও দাম বেশি থাকায় চাষিরা এর মাধ্যমে লাভবান হচ্ছেন।
ফলে এটি চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বলেশ্বর নদীর চর ও আশপাশের এলাকায় বাড়ছে এ ফুলের চাষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের বলেশ্বর নদীর চরের জমি ও হিজলা, কলাতলাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ফসলের জমিতে সূর্যমুখি চাষ হয়েছে। দৃষ্টি নন্দন সূর্যমুখি নজর কাড়ছে সবার। এলাকার কৃষাণ-কৃষাণীরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্ষেতের পরিচর্যায়। উচ্চফলনশীল জাতের এ ফুল আকারে যেমন দেখতে তেমনি এর বীজ থেকে আশানুরূপ তেল পাওয়া যায় বলে চাষিদের অভিমত। এছাড়া এসকল ফুলে এখন মৌমাছিদের ব্যাপক আনাগোনা থাকায় এখান থেকে মধু আহরণ করা সম্ভব বলেও জানান অনেকে। পাশাপশি একদিকে সূর্যমুখির বীজ থেকে তেল তৈরির পাশাপাশি এর গাছ থেকে জ্বালানি কাঠের যোগান হচ্ছে। এসব সুবিধার কারণে চাষিরা এটি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
উপজেলার শিবপুর গ্রামের সূর্যমুখি চাষি জামাল শেখ, হাবিবুর রহমানসহ অনেকে জানান- ধান, গম ও সবজি চাষের চেয়ে সূর্যমুখি চাষ করা অনেকটা সহজলভ্য। কারণ এতে কোন সেচ লাগে না। সার, কীটনাশক ব্যবহারেরও তেমন প্রয়োজন পড়ে না। অনেকটা লাভবানও তারা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর ভালো ফসল তুলতে পারবেন বলে তারা আশাবাদি।
উপজেলা কৃষি অফিসার সিফাত আল মারুফ জানান, এ বছর ৫০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখি চাষ হয়েছে। এটি চাষের জন্য কৃষি অফিস থেকে সার, বীজসহ নানা প্রকার সহায়তা প্রদান করা হয়।