নওগাঁয় পেঁয়াজ-রসুনের দাম কমায় ভোক্তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে

বাজারে ক্রেতা সংকট

প্রকাশ | ১৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

বরেন্দ্র অঞ্চল (নওগাঁ) প্রতিনিধি
সপ্তাহের ব্যবধানে নওগাঁয় পাইকারিতে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম কমেছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫৫ টাকা কেজি এবং রসুন ৭০-৮০ টাকা। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। সেখানে কেজিতে ১০-১৫ টাকা লাভে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। দাম কমায় ভোক্তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। জেলায় পেঁয়াজের উৎপাদন কম হওয়ায় পাশের জেলা পাবনা এবং নাটোর থেকে কিনে নিয়ে আসেন এ জেলার ব্যবসায়ীরা। সেসব জেলার ওপর পেঁয়াজের বাজারদর নির্ভর করে। বাজারে ক্রেতার আনাগোনা কম। দাম যখন ১০০ টাকা ছিল আর দাম বাড়ার আশঙ্কায় ক্রেতারা বেশি পরিমাণ কিনে রেখেছে। এ কারণে বাজারে ক্রেতা সংকট। তবে দাম কমায় ভোক্তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। নওগাঁ পৌর পাইকারি বাজার সূত্রে জানা যায়, রোববার সকাল থেকে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫৫ টাকা কেজি। যা গত শনিবারও ছিল ৬০ টাকা কেজি। তবে গত কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪০-৪৫ টাকা। এদিকে রসুন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। যা আগের দিন বিক্রি হয়েছে ৯৫-১০০ টাকা কেজি। তবে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম কিছুটা চড়া। নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছরে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৮৯০ হেক্টর। যা থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩ হাজার ৫৯০ মেট্রিক টন। এ বছর রসুনের আবাদের পরিমাণ ৭৮০ হেক্টর ধরা হয়েছে। ব্যবসায়ী মৃদুল হাসান বলেন, প্রতিদিন প্রায় ১০ বস্তা বিক্রি হয়।  পাইকারি বাজার থেকে কিনে বিক্রি হয়। যার কারণে লোকসান কিছুটা কম হয়েছে। একদিনে প্রায় দুই হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। তবে যারা জেলার বাইরে থেকে পেঁয়াজ কেনেন তাদের বেশি লোকসান হয়েছে। মেসার্স লক্ষ্ণী ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী সুকুমার বলেন, যেসব বিক্রি হয় তার ২-৩ দিন আগে কিনে নিয়ে আসা। প্রতিদিন ৫০ বস্তা (১০০ মণ) বিক্রি করা হয়। প্রতি কেজিতে ৫-৭ টাকা লোকসান করে বিক্রি করতে হচ্ছে। বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। অন্যদিকে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজও বাজারে আসতে শুরু করেছে। আগামীতে পেঁয়াজের দাম আরও কমতে পারে। এছাড়া রসুন বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি।