ধর্মপাশায় তিন সাংবাদিকের ওপর মাটি লুটকারীদের হামলা, থানায় মামলা

প্রকাশ | ১৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় সরকারি জায়গা থেকে অবৈধভাবে এস্কেভেটর মেশিন (ভেকু) দিয়ে মাটি লুট করে নেওয়ার ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে তিন সাংবাদিক অতর্কিত হামলার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।  আহত সাংবাদিকরা হলেন- ধর্মপাশা উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি, দৈনিক মানবজমিন-এর উপজেলা প্রতিনিধি মো. ইসহাক মিয়া, প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক, দৈনিক তৃতীয়মাত্রার উপজেলা প্রতিনিধি নূর রহমান তুষার ও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি মিঠু মিয়া। গত শনিবার দুপুর একটার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। জানা যায়, উপজেলার সেলবরস ইউনিয়নের ফুলুর গ্রামের সামনে সরকারি জায়গা থেকে অবৈধভাবে জমি গর্ত করে ভেকু মেশিন দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাটি লুট করে নিচ্ছে একটি চক্র। গত শুক্রবার এই চক্রের অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে উপজেলা প্রশাসন (ভূমি) ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে। এরপরও তাদের মাটি লুট করা বন্ধ হয়নি। গত শনিবার এই চক্র আবার একই স্থানে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে নিচ্ছিল। এ সময় তিন সাংবাদিক ছবি তুলতে গেলে ভেকু মেশিন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মোমেন, হিরণ মিয়াসহ সংঘবদ্ধ একটি চক্র সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করে। বিষয়টি ইউএনওকে অবহিত করা হয়। কেন ইউএনওকে জানানো হলো এর জের ধরে সাংবাদিকদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় এবং অতর্কিত হামলা করে। কোনোরকম তাদের কবল থেকে বেঁচে বাদশাগঞ্জ বাজারের শামসুন্নাহার মার্কেটে আশ্রয় নেন তিন সাংবাদিক। কিছুক্ষণ পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই ১০-১৫ জনের একটি গ্রম্নপ ওখানেও তাদের ওপর আবার হামলা করে। এ সময় চেম্বারে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে তারা।  সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সাংবাদিকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় গত শনিবার দিনগত রাত ১২টার দিকে এ চক্রের উপজেলার সেলবরস ইউনিয়নের উত্তর বীর গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে মোমেন মিয়া (৪২), মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে হুমায়ূন মিয়া (৩০), সলপ গ্রামের ইকবাল হোসেনের ছেলে হিরন মিয়া (৩৮), মাটিকাটা গ্রামের মৃত মতলিব আলীর ছেলে বাবুল মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে সাংবাদিক ইসহাক মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। ধর্মপাশা থানার ওসি মো. সামছুদ্দোহা বলেন, এ ঘটনায় আহত সাংবাদিক ইসহাক মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।