নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভুলতা গাউছিয়া এলাকায় মহাসড়কের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে গিয়ে পুলিশ ও হকারদের গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন ভুলতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আরিফুল হক। গত শুক্রবার বিকালে উপজেলার ভুলতা গাউছিয়া মার্কেট-২ এর সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত শুক্রবার বিকালে উপজেলার গাউছিয়া মার্কেট-২ এর সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দখল করে ৮-১০টি ভ্যানে আখের রস বিক্রি করছিল হকাররা। ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল হক আখের রস বিক্রেতা মাসুম মিয়াকে মহাসড়ক থেকে চলে যেতে বললে হকার ও ইউপি চেয়ারম্যানের বাগবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান আরিফের সঙ্গে আসা লোকজন হকারকে মারধর করে। ওই সময়ই ২০-২৫ জন হকার ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল হকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে ভুলতা ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল হকের সঙ্গে হকারদের হাতাহাতির সময় এক পুলিশ সদস্যের উপর ধাক্কা লাগে। তখন ভুলতা ফাঁড়ির এসআই বারেক ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আরিফুল হকের উপর লাঠিচার্জ করে।
এ বিষয়ে ভুলতা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আরিফুল হক ভুইয়া বলেন, 'ভুলতা গাউছিয়া মার্কেটের সামনে মহাসড়ক দখল করে ভ্যানে করে আখের রস বিক্রি করছিল। আমি তাকে এখান থেকে সরে যেতে বলি। সে কথা না শোনায় আমি তার পিঠে একটি থাপ্পড় দেই। তখন পুলিশ তার পক্ষ নেওয়ায় হকাররা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর হামলা চালায়। পুলিশও আমার উপর লাঠিচার্জ করে। পরে বিষয়টি ভুলতা পুলিশ ফাঁড়িতে মীমাংসা হয়।
এ ঘটনায় ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ওই সময়ই হকাররা চেয়ারম্যানের উপর হামলা চালায়। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ ইউএনও আহসান মাহমুদ রাসেল বলেন, হকারদের মহাসড়ক ছেড়ে দিতে বললেই তারা হামলা চালায়। কিন্তু চেয়ারম্যানের উপর পুলিশের লাটিচার্জের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনা জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।