আজকের যায়যায়দিন

দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ইউএনও'র হস্তক্ষেপে গতি ফিরেছে বগুড়ার ধুনট উপজেলার ইছামতি নদীর। গত শুক্রবার ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক খানের উদ্যোগে পৌর এলাকার জিঞ্জিরতলা-দাসপাড়া ইছামতি নদীর মধ্যে অবৈধ বালু বিক্রির জন্য নির্মিত রাস্তাটি অপসারণ করা হয়।

জানা গেছে, ধুনট পৌর এলাকার জিঞ্জিরতলা-দাসপাড়া ইছামতি নদীর মধ্যে রাস্তা নির্মাণ করে অবৈধভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী খনন প্রকল্পের বালু ও মাটি বিক্রি করে আসছিল স্থানীয় প্রভাবশালীরা। নদীর মধ্যে রাস্তা নির্মাণ করে পানি প্রবাহ বন্ধ করায় ভাটিতে অবস্থিত নদীর দুই পাশের শতাধিক হেক্টর জমিতে পানি সেচ দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েন কৃষকরা। শুক্রবার দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় 'ধুনটে নদীর গতিপথ বন্ধ করে অবৈধভাবে বালু বিক্রি!' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এদিকে ওই সংবাদটি দৃষ্টিগোচর হওয়ায় ধুনট ইউএনও আশিক খান এ বিষয়ে তাৎক্ষনিকভাবে পদক্ষেপ নেন। কিন্তু শুক্রবার ইউএনও'র অভিযানের সংবাদ পেয়ে পালিয়ে যায় ভূমিদসু্যরা। পরে ইউএনও'র হস্তক্ষেপে ইছমতি নদীর মধ্যের রাস্তাটি অপসারণ করা হয়। এতে গতি ফিরে পায় ইছামতি নদী।

এ বিষয়ে ইউএনও আশিক খান বলেন, উপজেলায় অবৈধভাবে বালু ও মাটি বিক্রির বিষয়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পৌর এলাকার জিঞ্জিরতলা-দাসপাড়া ঘাটে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু তারা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক কমিটি গঠন

পরে ইছামতি নদীর মাঝে নির্মিত রাস্তাটি অপসারণ করা হয়। তবে এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।