সাপাহারে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম, বিপাকে ক্রেতা সাধারণ
প্রকাশ | ১৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
সাঁপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি
পবিত্র রমজান মাসে নওগাঁর সাপাহারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য পণ্যের দাম। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। প্রচুর পরিমাণে আমদানি থাকলেও কিছু অসাধু পাইকারি ব্যবসায়ীদের জন্য দ্রব্যমূল্য বাড়ছে বলে অভিযোগ করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। আর এর প্রভাব পড়ছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের ক্রেতাদের মধ্যে।
উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন নিত্যপণ্য ও সবজির প্রতি কেজি দাম বেড়েছে ৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। প্রচুর পরিমাণে প্রতিটি কাঁচা পণ্যের আমদানি থাকা সত্ত্বেও দাম বেড়েই চলেছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজের মূল্য ছিল ১২০ টাকা, চলতি সপ্তাহে তা প্রতি কেজি ১৩০ টাকা, গত সপ্তাহে প্রতি কেজি বেগুনের মূল্য ছিল ২৫ টাকা, চলতি সপ্তাহে ৪০ টাকা। গত সপ্তাহে খিরা বা শশা ছিল ৪০ টাকা, চলতি সপ্তাহে ৬০ টাকা, গত সপ্তাহে আদা ছিল প্রতি কেজি ২০০ টাকা, চলতি সপ্তাহে ২২০ টাকা, গত সপ্তাহে রসুনের মূল্য ছিল প্রতি কেজি ১৯০ টাকা, চলতি সপ্তাহে ২২০ টাকা, গত সপ্তাহে প্রতি কেজি আলুর দাম ছিল ৩০, চলতি সপ্তাহে ৪০, গত সপ্তাহে টমেটো প্রতি কেজি ছিল ২৫, চলতি সপ্তাহে ৪০, লেবু প্রতি হালির মূল্য ছিল ২০ টাকা, চলতি সপ্তাহে ৪০ টাকা। গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচ ছিল ৫০, চলতি সপ্তাহে ৭০ টাকা, ছোলা গত সপ্তাহে প্রতি কেজির দাম ছিল ৯০, চলতি সপ্তাহে ১১০, মসুর ডাল গত সপ্তাহের দাম ছিল ১০০, চলতি সপ্তাহে ১১০, প্রতি কেজি বেসন ছিল ৮০ টাকা, চলতি সপ্তাহে ৯০, পাহাড়ি ডাল গত সপ্তাহে ছিল ৭০ টাকা, চলতি সপ্তাহে ৯০ টাকা, চিনি প্রতি কেজি গত সপ্তাহে ছিল ১৪২, চলতি সপ্তাহে ১৪৫ টাকা, চিকন চাউল গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ছিল ১৪০, চলতি সপ্তাহে ১৪৫ টাকা। এভাবে প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম, তেল, শুকনা মরিচ, সিম, লবণ, সরিষা তেলের। খুচরা তরকারি বিক্রেতা আমিনুল ইসলাম জানান, কাঁচা পণ্যের দাম বাড়ার কারণ পাইকারি ব্যাবসায়ীরা। তারা সকাল থেকে ওৎ পেতে থাকেন পাইকারি বাজারে। সেখান থেকে পণ্য কিনে অধিক মুনাফার আশায় রাজধানীতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বিক্রেতাদের ওপর।
কাঁচা বাজার সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, চাহিদা অনুযায়ী আমদানি না থাকায় কাঁচা তরকারির দাম বেড়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে আমদানি হলে দাম কমবে।
এ বিষয়ে ইউএনও মাসুদ হোসেন বলেন, 'আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। দোকানদারদের বলছি যাতে মূল্যবৃদ্ধি করা না হয়। অজাচিতভাবে দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'