কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে লেবুর দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। ৪০ টাকা কেজির লেবু এক লাফে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মূলত মাহে রমজানে ইফতারের সময় রোজাদারদের তৃষ্ণা মেটাতে ও ক্লান্তি দূর করতে শরবতের যেন বিকল্প নেই। তাই তো গৃহিণীরা ইফতার আইটেমে লেবুর শরবত যোগ করতে সদা ব্যস্ত থাকেন। তবে এ রমজানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি লেবুর দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে খেটে খাওয়া মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে লেবু।
গত শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি লেবু প্রকারভেদে ১০০-১৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ গত দুই থেকে তিনদিন আগেও ছিল প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা। ক্রেতাদের অভিযোগ, রমজান মাসকে ঘিরে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী লেবুর দাম বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। কোনো নজরদারি না থাকায় বেশি দামে লেবু বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। তবে স্থানীয় বাজারগুলোতে লেবুর সরবরাহ কম থাকায় দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে দাবি করেছেন বিক্রেতারা। উপজেলার রামপুর বাজারের লেবু বিক্রেতা আলামিন বলেন, লেবুর মৌসুম মাত্র শুরু হয়েছে। তাই স্থানীয় বাজারে লেবুর সরবরাহ তুলনামূলকভাবে কম। এর মধ্যে এখন রমজান মাস। দুইয়ে মিলে যথারীতি লেবুর দাম অনেক বেড়ে গেছে।
এ সময় লেবু কিনতে আসা স্কুল শিক্ষক আছমা আক্তার বলেন, 'এখন রমজান মাস। ইফতারের শরবতে লেবু লাগবেই। কিন্তু যে লেবু আগে ৪০ টাকা কেজি করে কিনেছি এখন সেই লেবু ১২০-১৫০ টাকা কেজি করে ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছি। এমন পরিস্থিতিতে খেটে খাওয়া মানুষদের নাভিশ্বাস উঠেছে। তাই ভুক্তভোগীরা বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ করেছেন।