নানা সমস্যায় জর্জরিত পাবিপ্রবির বশেমুর হল

প্রকাশ | ১৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

পাবনা ও পাবিপ্রবি প্রতিনিধি
নানা সমস্যায় ও অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল। দীর্ঘদিন সুপেয় পানির সংকটসহ ডাইনিং অব্যবস্থাপনা, হলের চারপাশ অপরিষ্কার, রিডিং রুম ও পেপার রুম অগোছালো সমস্যাও বড় আকার ধারণ করেছে। এতে ভোগান্তিতে রয়েছেন হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা জানান, শুরু থেকেই সংকট রয়েছে সুপেয় পানির। ফলে কেউ কেউ ওয়াশরুমের ব্যবহারকৃত পানি খেয়ে যাচ্ছেন। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুঁঁকিতে আছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। আবার কেউ কেউ নিচ থেকে টিউবওয়েল পানি নিয়ে পান করেন যেটা কষ্টসাধ্য এবং এ পানিতেও রয়েছে উচ্চ মাত্রায় আয়রন। অন্যদিকে, লোকবল থাকলেও তদারকির অভাবে অপরিচ্ছন্ন থাকে টয়লেটগুলো। অপরিচ্ছন্ন এসব টয়লেটের মেঝেতে পানি জমে স্যাঁতসেতে হয়ে থাকে এবং সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এসব টয়লেট ব্যবহার করতে হচ্ছে অনেকটা বাধ্য হয়ে, নাকমুখ চেপে। এছাড়াও হলের ড্রেন ও চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয় না ফলশ্রম্নতিতে মশার উপদ্রব বেড়েই চলেছে। সরেজমিন দেখা যায়, অনেকদিন ধরে দু'টি বস্নকে বেশ কয়েকটি ওয়াশরুমের দরজা ভেঙে গেছে, যা এখনো সংস্কার হয়নি। প্রতিটি তলায় বেসিন-টয়লেট অপরিচ্ছন্ন। হলের বাইরের চারপাশেও একই চিত্র। ময়লা-আবর্জনার স্তত্মূপে পরিণত হয়েছে হলের বাইরের দিকের ফাঁকা জায়গাগুলো। এ ছাড়া ডাইনিং পরিচালনায় হল প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই। সবসময় ডাইনিং চালু না থাকায় শিক্ষার্থীদের নির্ভর করতে হয় ক্যাম্পাসের গেটসংলগ্ন টং দোকানগুলোতে। সেখানে খাবারে উচ্চমূল্যে প্রশাসনের কোনো হস্তক্ষেপ না থাকাতে অতি নিম্নমানের ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েও দিতে হয় চড়া মূল্য। আবাসিক শিক্ষার্থীরদের সঙ্গে কথা বললে রবিন (ছদ্মনাম) জানান, হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডাস্টবিন না থাকায় সবাই যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন। আবার ডাস্টবিন থাকলে নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। প্রতিবছর একবারের বেশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় না। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি বিনোদনের প্রয়োজন থাকলেও হল প্রশাসন এক্ষেত্রে উদাসীন। কোনো কিছুরই এখনো কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখলাম না। হল প্রভোস্ট ডক্টর মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, 'আমি সব বিষয়ে অবগত হয়েছি। অল্প কিছু দিন হলো হলের দায়িত্ব পেয়েছি। এর মধ্যে যতটুকু সম্ভব সমাধান করেছি। বাকিটুকু অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সমাধান করে দেব। ইতোমধ্যে হলের মধ্যে একটি নলকূপ স্থাপন করেছি।' তিনি আরও বলেন, হলের শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা ভেবে সবার সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে যে কাজ করা দরকার, আমি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সেগুলো একে একে করব।'