রমজানে রাতে একটু শীতের পরশ লাগলেও সকাল গড়িয়ে দুপুর নামতেই শুরু হয় গরম। এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। তারা তরমুজের অতিরিক্ত দাম হাঁকিয়ে বিক্রি করছে।
এখনো তরমুজের মৌসুম না হলেও লাল রং ও মিষ্টির গ্যারান্টি দিয়ে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। তরমুজগুলো পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। ছোট-বড় আকারভেদে দামও ঠিক করছেন খুচরা বিক্রেতারা। ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত দাম দিচ্ছেন।
শুক্রবার নগরের কাজীর দেউড়ি, লাভলেইন, বহদ্দারহাট, চকবাজার, আগ্রাবাদ, নতুন ব্রিজ এলাকার বাজারে উঠেছে রসালো ফল তরমুজ। ছোট-বড় সব ধরনের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে এসব বাজারে। যে তরমুজ ছোট, সেগুলোর দাম একটু কম। আবার যে তরমুজ আকারে বড় ও দেখতে সুন্দর, সেগুলোর দামও একটু বেশি। ক্রেতাদের আশ্বস্ত করতে ব্যবসায়ীরা কেটে দেওয়ার কথাও দিচ্ছেন। তরমুজ কেটে ভেতরের লাল অংশও দেখিয়ে দিচ্ছেন।
বহদ্দারহাট বাজারের তরমুজ বিক্রেতা আলাল বলেন, ছোট-বড় সব ধরনের তরমুজ আমাদের এখানে রয়েছে। আকারভেদে তরমুজ বিক্রি করছি। তরমুজের সিজন না হওয়ায় দাম একটু বেশি। আনতেও খরচ বেশি পড়ছে। সবমিলিয়ে দাম বেশি।
এখানে তরমুজ কিনতে আসা ক্রেতা আরিফ বলেন, ২০০ টাকার তরমুজ ৪০০ টাকা, ৫০০ টাকার তরমুজ ৭০০ টাকা। ৪০০ টাকায় একটা ছোট তরমুজ কিনেছি ইফতারের জন্য। এ দেশের মানুষ ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি।
বহদ্দারহাট বাজারে দেখা যায়, আপেল, কমলা ও মাল্টাসহ অন্যান্য ফলের পাশাপাশি বাজারে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। কেউ বিক্রি করছেন ছোট তরমুজ, আবার কেউ বিক্রি করছেন বড় তরমুজ। ছোট তরমুজ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার বড় তরমুজ ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তরমুজের মৌসুম না হওয়ায় অনেক সময় কাটার পর তরমুজ সাদা দেখা যাচ্ছে।
কাজীর দেউড়ি বাজার থেকে বিএনপি অফিস হয়ে লাভলেইনের ঠিক মাঝামাঝি রাস্তার একপাশে ভ্যানগাড়ির দীর্ঘ সারি। এসব ভ্যানে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। বিক্রেতারা জানান, আকার ও মানভেদে প্রতিটি তরমুজ ৩০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তরমুজের দাম গতবারের তুলনায় এবার বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে একজন বিক্রেতা বলেন, তরমুজের মৌসুম এখনো আসেনি। মাত্র পাকতে শুরু করেছে। আরও ২০-২৫ দিন পরে তরমুজের মৌসুম এলে দাম কমে যাবে।