নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা খাদ্য গুদামে সংরক্ষিত গমে পানি দিয়ে ওজন বাড়ানোসহ ঘাটতি চাল পূরণে বাজার থেকে কিনে গুদামে ঢুকানোর অভিযোগ পাওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদকর্মীরা উপস্থিত হলে তড়িঘড়ি করে ৪নং গুদাম সিলগালা করা হয়েছে। এর আগে সেখান থেকে ভেজা গম সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। এ সময় উপস্থিত খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুজ্জামান দ্রম্নত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে বিষয়টি প্রথমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সংসদ সদস্যকে জানানো হয়। এ ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। অভিযোগ রয়েছে, বর্তমান খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যোগদানের পর থেকেই নানা ধরনের অনিয়ম করে আসছিলেন। ফলে ঘটনার প্রেক্ষিতে নিজ অফিসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এ সময় তিনি বলেন, অভিযোগ সত্য নয়, বরং লেবারদের সঙ্গে ঠিকাদারের কিছু বিষয়ে ঝামেলা চলছে। সেক্ষেত্রে সমাধানে উদ্যোগ নেওয়ায় ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এই ঘটনার পর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা জিয়াউল হক শাহ গুদাম পরিদর্শন করেছেন বলে জানা যায়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা আমাকেসহ ৩ সদস্যের কমিটি করে দিয়েছেন। আগামী ৩ কার্যদিবসে মধ্যে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হবে।