যমুনার ভাঙন, বাড়িঘর নির্মাণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তাঘাট নির্মাণ, পুকুর খনন, শ্রেণি পরিবর্তন করে মাটি বিক্রি, নদী থেকে উত্তোলন করা বালু রাখার কারণে কাজিপুরে আবাদি জমি আশঙ্কাজনকহারে কমছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বিগত ১০ বছর আগে মোট আবাদি জমির পরিমাণ ছিল ২৪ হাজার ৪২০ হেক্টর। বর্তমানে জমির পরিমাণ হাজার ৪৪ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে। গত ১০ বছরে ৩৭৬ হেক্টর আবাদি জমি কমেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন জানায়, নদীর ভাঙন এবং অবকাঠামোগত ভূমির ব্যবহার ছাড়াও সরকারি বিধিনিষেধ না থাকায় অপরিকল্পিত বাড়িঘর নির্মাণের কারণে জমি অনাবাদি হচ্ছে। এ ছাড়া জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে পুকুর খনন ও ইটভাটায় মাটি দেওয়ার কারণে অনাবাদির পরিমাণ বেড়েই চলেছে।
এ ছাড়া কাজিপুরের বৈধ বালু মহলের বাইরে ১৬টি অবৈধ বালি মহল তৈরি করে বালি উত্তোলন করে স্তূপাকারে রাখায় আবাদি জমি অনাবাদি করে রেখেছে।
কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি উদ্বেগজনক, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রতি ইঞ্চি ভূমির ব্যবহার নিশ্চিতসহ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জনে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।