নির্মাণাধীন ৫০ শয্যাবিশিষ্ট পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের বারান্দার ছাদ ঢালাইয়ের সময় ধসে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলছে, ঢালাই শ্রমিকদের সেন্টারিং ক্রুটির কারণে ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী নির্মাণ শ্রমিকরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নির্মাণাধীন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে বারান্দা অংশের ছাদ ঢালাই দেওয়া হচ্ছিল। শেষ মুহূর্তে ঢালাই চলাকালীন সময়েই বারান্দার অংশের সেই ছাদ ধসে পড়ে। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু ছাদ ঢালাইয়ের শ্রমিকদের মধ্যে তখন আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। ওইদিন রাতেই সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বারান্দার অংশের ছাদ ধসে পড়ে আছে। সেখান থেকে রড সরিয়ে নিচ্ছে নির্মাণ শ্রমিকরা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাউকে সেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। আর সন্ধ্যায় কেন ঢালাই দেওয়া হচ্ছিল, এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজটি দেখভালের দায়িত্বে থাকা রাহাত হোসেন বলেন, 'হাসপাতালের পুরো ছাদটি ১০ হাজার স্কয়ার ফুট। এর মধ্যে বারান্দার অংশটুকু শুধু ২২ ফুট। আমরা সবাই যখন ইফতারি করতে যাই। তখন আমাদের না বলেই বারান্দার সেই অংশটুকু ঢালাই দেওয়া শুরু করে শ্রমিকরা। এইসময় সেন্টারিং ভালোভাবে না হওয়ায় এই ঘটনা ঘটে।'
জানা গেছে, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এইচইডি) অধীনে পটুয়াখালীর প্রাইম কনস্ট্রাকশন নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের নির্মাণ কাজটি করছিল। প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজটি পায় এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত বছরের জুলাই মাসে কাজটি শুরু করে তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, 'দুর্বল সেন্টারিংয়ের কারণে সামনের বারান্দার অংশটির ছাদ ধসে পড়েছে। তারাহুরো করে কাজটি করতেছিল মিস্ত্রিরা। তাই ঢালাই দেওয়ার পরপরই পড়ে গেছে। আমরা এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পর মূল ঘটনাটি সম্পর্কে জানা যাবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'