সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে চলতি মৌসুমে গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। যমুনা ও করতোয়া পাড়ের বিভিন্ন মাঠে গমের বাম্পার ফলনে কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসি।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছসহ গমের শিষ পেকে সোনালি রং ধারণ করেছে। সোনালি আভায় ঢেকে আছে মাঠ। যেন চারদিকে গমের সেই সোনালি রঙে নয়ন জুড়ানো দৃশ্য মেতে উঠেছে ফসলের মাঠে। হলুদ ও সোনালি রঙে সাজিয়ে তুলেছে প্রকৃতির রূপকে। মাঠে মাঠে শুরু হয়েছে গম কাটার কাজ। গম কাটা, শিষ থেকে গম ছাড়ানোসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা। গমের বাম্পার ফলন হওয়ায় প্রতিটি কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। যমুনা পাড়ের বিনোটিয়া, কাশিপুর, কৈজুরী, লোহিন্দাকান্দি, ভাটপাড়া, গুধিবাড়ী, জামিরতা, করতোয়া পাড়ের নরিনা, চরবাতিয়া, নুরালনগর, চর নারুয়া, শিবরামপুর এলাকায় বালু মাটিতে গমের ভালো ফলন লক্ষ করা গেছে।
শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কৃষি প্রণোদনার আওতায় প্রতিজন কৃষককে ২০ কেজি উন্নত জাতের গম বীজ এবং ১০ কেজি করে ডিএপি, এমওপি সার দেওয়া হয়েছে। গত কয়েক বছরের মধ্যে এ বছর গমের ফলন ভালো হয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতি মণ গম ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে প্রতি মণ গম ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে এ বছর গমে একটু বেশি লাভ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উপজেলার বিনোটিয়া গ্রামের গমচাষি বাচ্চু শেখ বলেন, গমচাষে খরচ কম। ভালো দাম ও ফলন ভালো হওয়ায় তিনি দুই বিঘা জমিতে গম চাষ করেছেন। গমের কোনো কিছু ফেলতে হয় না। গম বিক্রির পর গমের আঁটি বিক্রি করে ও টাকা আসে।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, যমুনা পাড়ের কৃষকরা বালু মাটিতে প্রতি বছর গম চাষ করে থাকেন। চলতি মৌসুমেও গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের নানাভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অন্য ফসলের তুলনায় গম চাষের খরচ কম। দাম ভালো পাওয়ায় গম চাষে কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।