বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ধর্ষণ মামলা

মুশতাক ও ফাওজিয়ার অব্যাহতির সুপারিশে নারাজি গ্রহণ

যাযাদি ডেস্ক
  ১৫ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
মুশতাক ও ফাওজিয়ার অব্যাহতির সুপারিশে নারাজি গ্রহণ

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ এবং সাবেক অধ্যক্ষ রাশেদীর বিরুদ্ধে এক ছাত্রীর বাবার করা ধর্ষণের মামলায় নতুন করে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মুশতাক ও ফাওজিয়াকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে পুলিশ এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পর তাতে আপত্তি জানিয়েছিলেন মামলার বাদী। তার নারাজি আবেদন গ্রহণ করে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনালের বিচারক শওকত আলী বৃহস্পতিবার পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, 'পিবিআইকে আগামী ২৯ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে বলেছেন বিচারক।'

সিনথিয়া ইসলাম তিশা নামের এক ছাত্রীকে বিয়ে করে আলোচনায় আসা মুশতাক ও অধ্যক্ষ ফাওজিয়ার বিরুদ্ধে গত বছরের ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনাল ৮-এ মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা।

মামলাটি তদন্ত করে সে বছরের ১৪ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন গুলশান থানার এসআই সোহেল রানা। মামলা দায়েরে 'তথ্যগত ভুল হয়েছে' উলেস্নখ করে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয় প্রতিবেদনে।

সেখানে বলা হয়, ওই ছাত্রী আদালতে হাজির হয়ে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দেন। তাতে তিনি বলেছেন, ২০২৩ সালের ২৫ মার্চ স্বেচ্ছায় ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে খন্দকার মুশতাক আহমেদকে তিনি বিয়ে করেন। বিজয়নগর কাজী অফিসে তাদের বিয়ে হয়।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ছাত্রীর বয়স ১৮ পূর্ণ হলে তাকে বিয়ে করেন মুশতাক। এক্ষেত্রে ওই ছাত্রীকে কেউ কোনো ধরনের প্ররোচনা দেয়নি।

ওই প্রতিবেদনের ওপর গত ৩ মার্চ নারাজি আবেদন করেন তিশার বাবা। নারাজি আবেদনের ওপর সেদিন শুনানি নিয়ে আদেশের জন্য ১৪ মার্চ দিন ঠিক করেছিলেন বিচারক।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, 'বিভিন্ন অজুহাতে মুশতাক কলেজে আসতেন এবং তিশাকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে নিতেন। খোঁজ-খবর নেওয়ার নামে তাকে বিভিন্ন 'প্রলোভন' দেখাতেন। কিছু দিন পর মুশতাক তিশাকে 'কুপ্রস্তাব' দেন। এতে রাজি না হওয়ায় তিশাকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে এবং তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়ার হুমকি দেন।'

বাদীর ভাষ্য, ''অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর কাছে প্রতিকার চাইতে গেলে তিনি কোনো সহযোগিতা করেননি, বরং মুশতাককে 'অনৈতিকভাবে সহযোগিতা' করেন। এরপর গত ১২ জুন তিশাকে তাদের ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। মুশতাক লোকজন দিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়ি থেকে তাকে 'অপহরণ' করেন।''

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে