সেলিম প্রধানের বিদেশে যেতে বাধা নেই: হাইকোর্ট

প্রকাশ | ১৫ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দুর্নীতিতে দন্ডিত অনলাইন জুয়ার কারবারি সেলিম প্রধানের বিদেশ যাওয়ায় বাধা কাটল হাইকোর্টের আদেশে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের বেঞ্চ সেলিম প্রধানের করা একটি রিট আবেদনের শুনানি করে তার পক্ষে আদেশ দেয়। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এম সারওয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। সেলিম প্রধান গত ১৭ ডিসেম্বর বিদেশ যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স পেলেও আটকে দেয় পুলিশ। তার বিরুদ্ধে একটি মামলায় তদন্ত চলছে বলে বিমানবন্দর থেকে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। আদেশের পর অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান আদালতের কাছে জানতে চান সেলিম প্রধানের বিদেশ যাওয়ার অনুমতি সীমিত কিনা। তখন জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেন, 'না, আনলিমিটেড।' পরে অ্যাডভোকেট এম সারওয়ার হোসেনও বলেন, 'প্রশাসনের কেউ যদি বাধা দেন, তা হলে তিন দিনের মধ্যে আদালতের অর্ডার দেখাতে হয়। কিন্তু তারা তা না করে হয়রানির জন্য এমনটা করছেন। পুলিশ বাধা দিয়েছে, তাদের এ আইন জানার কথা।' এই আদেশের ফলে সেলিম প্রধানের বিদেশ যেতে কোনো বাধা থাকল না বলে জানান এই আইনজীবী। তিনি বলেন, বিদেশ যাওয়ার সময় কাউকে যদি বাধা দেয়, তাহলে তিন দিনের মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আদালতের একটি আদেশ নিতে হয়। কিন্তু সেলিম প্রধানকে আটকে দেওয়ার পর গত ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো আদেশ প্রশাসন আদালত থেকে পায়নি। বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে গত ১০ মার্চ একটি রিট আবেদন করেন সেলিম প্রধান। মঙ্গল ও বুধবার শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার তার পক্ষেই আদেশ হলো। সেলিম প্রধান 'প্রধান গ্রম্নপ' নামে একটি ব্যবসায়ী গ্রম্নপের চেয়ারম্যান। এই গ্রম্নপের অধীনে পি২৪ গেইমিং নামের একটি কোম্পানি আছে, যারা ওয়েবসাইটে ঘোষণা দিয়ে ক্যাসিনো ও অনলাইন ক্যাসিনোর কারবার চালিয়ে আসছিল। ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে সেলিম প্রধানকে আটকের পর তার রাজধানীর গুলশান-বনানীর বাসা ও অফিসে অভিযান চালিয়েছিলর্ যাব। ওই অভিযানে ২৯ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। ওই বাসায় দুটি হরিণের চামড়া পাওয়ায় সেলিম প্রধানকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে তাৎক্ষণিকভাবে ছয় মাসের কারাদন্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরদিন গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে দুটি মামলা করের্ যাব। আর দুদক পরে অবৈধ সম্পদের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করে। দুদকের ওই মামলায় তার ৮ বছরের কারাদন্ড হয়েছে। দীর্ঘ চার বছর কারাগারে থাকার পর ২০২৩ সালের অক্টোবরে জামিনে মুক্তি পান সেলিম প্রধান।