বাঁশখালীর ৫ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জেলা যুবলীগের সম্পাদকের মামলা

প্রকাশ | ১৪ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ৫ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানহানিকর বক্তব্য প্রচারের অভিযোগে মামলা করেছেন বোয়ালখালীর পৌর মেয়র ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম জহুর। সোমবার চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইবু্যনালে তিনি এই নালিশি মামলা করেন। চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইবু্যনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবির শুনানিতে অভিযোগ আমলে নিয়ে এ ঘটনায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আদালত প্রচারিত আদেশে এ তথ্য জানা যায়। মামলার আসামিরা হলেন- বাঁশখালী উপজেলা যুবলীগের পদত্যাগকৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন চৌধুরী খোকন, নির্বাহী সদস্য মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, জহির উদ্দিন বাবর, রায়হানুল হক চৌধুরী ও সনেট দাশ। মামলায় অভিযোগ করা হয়, বাঁশখালী উপজেলা যুবলীগের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী, যুবলীগ চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদকের ছবি সংযুক্ত করে সংবাদ সম্মেলন করেন কমিটির পদত্যাগ করা নেতারা। সেখানে যুবলীগের গঠনতন্ত্র বিরোধী বক্তব্য দেওয়া হয়, অর্থ লেনদেনের মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়। সেই অভিযোগগুলো বিভিন্ন গণমাধ্যমের সহায়তায় ছাপিয়ে ৫ অভিযুক্ত নিজেদের ফেসবুকে পোস্ট করেন। এর ফলে এলাকায় যুবলীগ কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় ও এলাকার শান্তিশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটে। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম জহুর বলেন, বাঁশখালী উপজেলার নবগঠিত যুবলীগ কমিটির ৫ নেতা পদত্যাগ করার আগে জেলা সভাপতি কিংবা আমার সঙ্গে আলাপ করেননি। এছাড়া অর্থ লেনদেনের অভিযোগ তুলেছেন আমাদের বিরুদ্ধে। পরে আমি এবং সভাপতি দিদারুল ইসলাম চৌধুরী এ বিষয়ে আলাপ করি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'যদি অভিযোগ সত্য না হয়, তবে তোমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করো।' সেই নির্দেশনা মোতাবেক আমি মামলা দায়ের করেছি। উলেস্নখ্য, গত ৪ ফেব্রম্নয়ারি বাঁশখালী উপজেলা যুবলীগের ৩১ সদস্য আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ১৪ ফেব্রম্নয়ারি বিকালে বিভিন্ন অভিযোগ এনে পাঁচজন আহ্বায়ক কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন। তারপর ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে উপজেলা যুবলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে দাবি করে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনও আয়োজন করেন তারা। এ সময় হত্যা মামলার আসামি, চাঁদাবাজ, ভূমিদসু্য, রাজাকার পরিবারের সদস্যদের এ কমিটিতে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়।