সারিয়াকান্দিতে ইফতার সামগ্রীসহ ফলমূলের দাম ঊর্ধ্বমুখী

প্রকাশ | ১৪ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
রমজানে দ্বিতীয় দিনেই ক্রেতাদের জন্য অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছে ইফতারির বাজার। বেড়েছে লেবু, তরমুজসহ সব ধরনের ইফতার সামগ্রীর দাম। ক্রেতাদের অভিযোগ রমজানে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দেয় ব্যবসায়ীরা। বিক্রেতাদের দাবি আমদানির তুলনায় পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়ে যায়। তারা বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। বুধবার সারিয়াকান্দি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ইফতারির সময় শরবতে ব্যবহৃত প্রধান কাঁচামাল লেবু মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা হালি। সব ধরনের বেগুনের দাম তুলনামূলক কম ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খিরা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৫-৪০ টাকা। এ ছাড়া গত সপ্তাহের ৪০-৫০ টাকা কেজি দরের তরমুজ বেড়ে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইফতার সামগ্রীর দামও গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। তেল, ডাল, চিনির দামসহ অন্য জিনিসের দাম বাড়ায় গতবারের তুলনায় দাম বেশি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গত বছরের তুলনায় এ বছর কিছুটা দাম বেড়ে প্রতি কেজি বুন্দিয়া ২৪০-২৫০ টাকা, ভুনা বুট ২০০ টাকা, ঝুড়ি ভাজা ২২০ টাকা, চুটকি ২২০ টাকা, পিঁয়াজু ২২০ টাকা, বেগুনি ২২০ টাকা, তিলের বড় জিলাপি ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সারিয়াকান্দি বাজারের লেবু বিক্রেতা বাবু বলেন, লেবুর দাম এক মাস থেকেই বেড়েছে। এখন লেবুর সিজন না, তাই আমদানি কম। আমদানির তুলনায় চাহিদা বেশি হওয়ায় লেবুর দাম বেড়েছে। ৩০ টাকা থেকে শুরু করে মান অনুযায়ী ৪০ টাকা হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে। তরমুজ কিনতে আসা সারিয়াকান্দি নিজ বলাইয়ের জসিম উদ্দিন বলেন, রমজান মাস শুরু হলেই পণ্যের দাম বেড়ে যায়। চড়া দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সারাদিন রোজা রাখার পর তরমুজ বা ফল ফলান্তি খেলে শরীরে অনেকটাই স্বস্তি এনে দেয়। কিন্তু তরমুজ ও খিরার দাম অস্বাভাবিক। দাম বাড়ার কারণ জানিয়ে খিরা বিক্রেতা সফিক বলেন, এক সপ্তাহ আগেও খিরা ৩০- ৪০ টাকায় বিক্রি করেছেন। কিন্তু এখন উৎপাদন অনেকাংশে কমে গেছে। তাই আমদানি তেমন নেই। এ জন্য তাদের কিনতেও হচ্ছে বেশি দামে। সারিয়াকান্দি মুক্তিযোদ্ধা মোড়ের তরমুজ বিক্রেতা মাজেদুল রহমান বলেন, আড়তে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ নেই। পাকা তরমুজ কম পাওয়া যাচ্ছে। রমজান উপলক্ষে চাহিদা বেড়েছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি তরমুজের দাম ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এখন ছোট-বড় তরমুজ ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এই বাজারের কাঁচা তরকারি ব্যবসায়ী বলেন, শসা ও লেবুর আমদানি কম হয়েছে। তাই দাম বেড়েছে। তবে সরবরাহ বেড়ে গেলে দাম কমে আসবে। সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমান বলেন, রমজান শুরুর আগে থেকেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে নিয়মিত বাজার তদারকি করা হয়। এখনো করা হচ্ছে। কেউ যদি ইচ্ছা করে কোনো দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দেয় আর সেটি যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।