মধুখালীতে এবার ২০ কোটি টাকার পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনের সম্ভাবনা

প্রকাশ | ১৪ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ফরিদপুরের মধুখালীর একটি পেঁয়াজ বীজ ক্ষেত -যাযাদি
ফরিদপুরের মধুখালীতে চলতি বছর ৬৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বীজের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, যা বর্তমান বাজার মূল্যে প্রায় ২০ কোটি টাকার উর্ধ্বে। কৃষকরা বলছেন, গত মৌসুমের মতো এবারও যদি ন্যায্যমূল্য পান, তাহলে রেকর্ড পরিমাণ টাকার বীজ বিক্রি করতে পারবেন। এতে হাসি ফুটবে 'কালো সোনা' খ্যাত পেঁয়াজবীজ চাষিদের চোখে। মধুখালী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, আগামী নভেম্বরে বীজতলা তৈরি করবেন চাষিরা। এর ২০ দিন পর লাগাবেন চারা। যা ভোক্তার দোরগোড়ায় পৌঁছাবে মার্চের শেষ নাগাদ। তবে পেঁয়াজের দামের ঝাঁজ লেগেছে বীজের দামেও। প্রতিকেজি বিক্রির আশা কমপক্ষে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকায়। উপজেলার ঝাউহাটি মাঠের পেঁয়াজ বীজ চাষি নাছির হোসেন বলেন, এলাকার অনেকে এখন বীজের চাষ করছেন। যার অল্প জমি রয়েছে, তিনিও তার জমিতে পেঁয়াজের বীজের চাষ করছেন। আশা করছেন, ভালো উৎপাদন হবে। মধুখালী উপজেলার কোরকদী ইউনিয়নের কলাইকান্দা গ্রামের চাষি আনন্দ সরকার বলেন, গত বছর ৫ একর জমিতে পেঁয়াজ বীজ চাষ করেছিলেন। ভালো দাম পেয়েছেন। এ বছর সাত একর জমিতে চাষ করেছেন। তিনি বলেন, গতবারের তুলনায় ভালো উৎপাদন হবে। আশা করছেন, মণ প্রতি যদি এক লাখ টাকাও পান তবে তাদের উপকার হবে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আলভীর রহমান জানান, পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চায় দেশ। তাই বাড়ানো হয়েছে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা। এ বছর পেঁয়াজের কদম বীজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭০ হেক্টর। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৮ মেট্রিকটন।