আজকের যায়যায়দিন

জামালপুরে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এক রোগীর মৃতু্যকে কেন্দ্র করে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। মৃত রোগীর স্বজনদের হামলায় ইন্টার্ন চিকিৎসক আহতের ঘটনায় কর্মবিরতি শুরু করেছে ইন্টার্নরা। এ ঘটনায় মৃত রোগীর ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।

গত সোমবার মধ্য রাতে জামালপুর পৌর এলাকার রশিদপুর গ্রামের গুল মাহমুদকে অসুস্থ অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে স্বজনরা। পরে রোগীকে মেডিসিন ওয়ার্ডে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বজনরা চিকিৎসকের উপর চড়াও হয়। এ সময় অন্য ওয়ার্ড থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মেডিসিন ওয়ার্ডে গেলে তাদের উপরও স্বজনরা হামলাসহ চিকিৎসকদের কক্ষ ভাঙচুর করে। এতে ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. মঞ্জুরুল হাসান জীবন, ডা. ফহমিদুল ইসলাম ফাহাদ ও ডা. তুষার আহমেদ আহত হন।

এদিকে চিকিৎসকদের অবহেলায় রোগী মৃতু্যর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করে মৃতের স্বজনরা জানায়, মৃত গুল মাহমুদের মরদেহ হাসপাতালে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ছেলেদের সঙ্গে হাসপাতলের স্টাফদের বাকবিতন্ডা হয়। এ কারণে রাত ২টার দিকে মৃতু্য হলেও দুপুর পর্যন্ত মরদেহ আটকে রাখে কর্তৃপক্ষ। ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হলে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে অভিযোগ স্বজনদের।

অন্যদিকে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, শাস্তি ও ইন্টার্নদের নিরাপত্তার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহান জামালপুর সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। পরে দুপুরে গুল মাহমুদের ছেলে হায়দার হাসপাতালে তার বাবার মরদেহ নিতে আসলে স্বজনদের কাছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মরদেহ হস্তান্তর করে এবং এ সময় হায়দারকে আটক করে পুলিশ।

ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের বাড়ি গেলেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক

জামালপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহান জানান, 'মুমুর্ষূ অবস্থায় রোগীকে জরুরি বিভাগে আনলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ওয়ার্ডে নেওয়ার পরই তার মৃতু্য হয়। এ সময় রোগীর দুই ছেলেসহ স্বজনরা কর্তব্যরত চিকিৎকদের উপর হামলা এবং হাসপাতালে ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় মামলা করেছি, পাশাপাশি ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের চেষ্টা চালাচ্ছি। তবে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে থাকলেও সিনিয়র চিকিৎসকরা হাসপাতালের সেবাদান অব্যাহত রেখেছে।'

জামালপুর সদর থানার ওসি মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, 'এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি, ইতোমধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে, পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'