চিলমারীতে জমি অধিগ্রহণ না করেই সেতু নির্মাণ!

প্রকাশ | ১৩ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে অধিগ্রহণ না করেই ব্যক্তি মালিকানা জমির ওপর সেতু নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের (এলজিইডি) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বারবার অভিযোগ করেও সুরাহা হয়নি। সেতু নির্মাণের কাজ অব্যাহত রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেও লাভ হয়নি জমির মালিকের। জানা গেছে, উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের পাত্রখাতা গ্রামের সংযোগ সেতু নতুন করে নির্মাণ ২০২৩ সালে শুরু হয়। রংপুর বিভাগ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (আরডিআইআইপি), আরসিসি গার্ডার ৬৮ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির কাজ শুরু করে এলজিইডি। ৩ কোটি ৪০ লাখ ৩১ হাজার ২৯৬ টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ পেয়েছে কুড়িগ্রামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স বসুন্ধরা এন্ড মেসার্স খাইরুল এন্টারপ্রাইজ। ভুক্তভোগী জমির মালিক রেজাউল করিম অভিযোগ করেন, নির্মাণাধীন সেতুটির দৈর্ঘ্য বেশি হওয়ায় তার জমি পাত্রখাতা মৌজার প্রায় ৯ শতাংশ জমি সেতুর মধ্যে পড়েছে এবং একটি অখন্ড জমি সেতু দ্বারা খন্ডিত হয়েছে। ইতোমধ্যে এই জমির মধ্যে সেতুর পিলারও স্থাপন করা হয়েছে। রেজাউল করিম আরও বলেন, এ নিয়ে সেতু নির্মাণের শুরুতে একাধিকবার কুড়িগ্রাম এলজিইডি'র নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো লাভ হয়নি। সর্বশেষ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করলে ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই সহকারী কমিশনার স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহাবুবুর রহমান তদন্ত করেন। তদন্তে তৎকালীন ইউএনও মাহবুবুর রহমান সরকারি খাসভুক্ত জমি হিসেবে তদন্ত রিপোর্ট দেন। যা মনগড়া বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী জমির মালিক। জমির মালিক রেজাউল করিম বলেন, 'একাধিকবার কুড়িগ্রাম গিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জমি অধিগ্রহণ করে ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান। কিন্তু সেতু নির্মাণ শুরু হলেও তারা এখন পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিপূরণ কোনোটিই করেননি।' উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ফিরোজুর রহমান বলেন, 'সাবেক ইউএনও জমির মালিকের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও'র সঙ্গে কথা বলব।' এ বিষয়ে লালমনিরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও চিলমারী উপজেলার সাবেক ইউএনও মো. মাহবুবুর রহমান জানান, 'সেতুটি সরকারি জায়গায় করা হচ্ছে। ওই জমির মালিকের রাস্তায় কিছু অংশ পড়েছে। এ জন্য তার জমি অধিগ্রহণ করার দরকার পরে না।' এ বিষয়ে এলজিইডির কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুজ্জামান বলেন, 'আমি নতুন এসেছি। এ বিষয়ে কিছু জানি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।'