৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা

কুড়িগ্রামে গমের বাম্পার ফলনের আশা

প্রকাশ | ১৩ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রাম জেলার গম চাষিরা এ বছর ভালো আবহাওয়ার কারণে বাম্পার ফলনের আশা করছেন। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এখানকার কৃষকরা গম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। তবে বেশিরভাগই সনাতন পদ্ধতিতে অল্প জায়গায় গম চাষ করছেন। কুড়িগ্রামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ বছর জেলায় ২৩ হাজার ৯২০ টন গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমি গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। এর বিপরীতে কৃষকরা ৬ হাজার ৭০৫ হেক্টর জমিতে গম চাষ করছেন। কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, গত বছর কৃষকরা বাম্পার ফলন এবং ভালো দাম পাওয়ায় এখানে গমের আবাদ বেড়েছে। জেলার রাজারহাট উপজেলার পূর্ব দেবত্তর গ্রামের কৃষক মজিবুর রহমান (৫০) বলেন, গত ১২ বছর ধরে গম চাষ করে ভালো লাভ পাচ্ছেন। গত বছর ৪০ শতাংশ জমিতে আবাদ করলেও এ বছর ৩০ শতাংশ জমিতে সোনালিকা জাতের গম চাষ করেন। গত বছর উৎপাদিত গম বিক্রি করেছিলেন ২৪ হাজার টাকা এবং জমি প্রস্তুত, শ্রমিক মজুরি, পানি সেচ, সার ও কীটনাশক বাবদ খরচ করেন প্রায় ৬ হাজার টাকা। অন্য ফসলের তুলনায় লাভবান হয়েছে। আবহাওয়া গম চাষের জন্য ভালো থাকায় এ বছর অগ্রহায়ণ মাসে গমের বীজ বপণ করেন এবং ভালো ফলন দেখছেন। আগামী মাসে গম কাটা যাবে। আরেক গমচাষি লুৎফর রহমান (৫৪) বলেন, ২১ শতাংশ জমিতে কাঞ্চন জাতের গম চাষ করেন এবং বাম্পার ফলনের আশা করছেন। গম কম সেচ ও কম খরচে আবাদ করা যায় এবং ধানের অর্ধেক দামে উৎপাদন করা যায়। বছরের সব সময় বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা থাকে। তিনি আশা করছেন এবারও গমের ভালো ফলন ও দাম পাবেন। কুড়িগ্রাম কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক বিপস্নব কুমার মোহন্ত বলেন, 'যেহেতু এখানে বস্নাস্ট রোগের পুনরাবৃত্তি ঘটেনি, আমরা আশা করছি, কৃষকরা প্রতি হেক্টর জমিতে গমের ফলন পাবেন ৩.৫৭ টন। যদিও কৃষকরা গমের বাম্পার ফলন এবং ভালো দাম পাচ্ছেন, তারপরও সব মৌসুমেই ভুট্টা চাষ করা যায় বলে কৃষকরা ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন।' তিনি আরও বলেন, 'আমরা প্রতি বছর জেলায় গম চাষিদের গমবীজ ও সার প্রদান করে আসছি। এ বছরও আমরা যথাসময়ে কৃষকদের কাছে বীজ পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি, যাতে তারা ভালো ফসল উৎপাদন করতে পারেন। আমাদের সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষি কর্মকর্তারা রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক যথাযথ প্রয়োগসহ আধুনিক প্রযুক্তিতে চাষের ওপর কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছেন।'