কুড়িগ্রামে এক বছরে ৩২ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার

প্রকাশ | ১২ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামে মাদকদ্রব্য বন্ধ অভিযানে গত এক বছরে প্রায় ৩২ কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ। জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, জেলার সব থানায় গত এক বছরে ৬৭৮টি মাদক মামলা করা হয়েছে। এতে ৮৫০ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার হয়েছে। অন্যদিকে এক বছরে ১,৬২২ কেজি গাঁজা, ৪,৫১৬ বোতল ফেনসিডিল, ৬০,১৪১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১,৪১৪ বোতল ইস্কাফ সিরাফ, ১,১১৪ বোতল বিদেশি মদ, ১৫০ লিটার দেশি মদ ও হেরোইন ২২৮ গ্রাম উদ্ধার করে পুলিশ। সব মিলিয়ে এসব মাদকদ্রব্যের মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩২ কোটি টাকা। কুড়িগ্রামে ছোট-বড় মিলে ১৬টি নদ-নদী রয়েছে। প্রতিবছর বন্যা ও নদীভাঙনে অসংখ্য মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়। নদীগর্ভে বিলীন হয় শত শত বিঘা ফসলি জমি। যার কারণে এখানকার মানুষ দরিদ্র থেকে আরও দরিদ্র। এ অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষই কৃষি নির্ভরশীল। দরিদ্রতার কারণে এ জেলায়ই এত মাদকের ছড়াছড়ি। তবে গত এক বছরে ব্যাপক পরিসরে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে পুলিশ। এসব মাদকদ্রব্য উদ্ধার করার ফলে পুলিশের প্রশংসা করছেন এখানকার বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। পুলিশ সব সময় তৎপর থাকলে হয়তো কুড়িগ্রামে মাদকদ্রব্য আরও অনেকাংশে কমে আসতে পারত। কুড়িগ্রাম সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক শ্যামল ভৌমিক বলেন, এত মাদক উদ্ধার অবশ্যই পুলিশের এটি ভালো কাজ। তারা কাজটি আরো ভালোভাবে করলে কুড়িগ্রামে মাদক অনেকটা কমে যাবে। কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের বন্দরপাড়া গ্রামের মামুনুর রশীদ বলেন, 'আগে তো আমাদের এলাকায় প্রচুর মাদকের কারবার চলত, তবে এখন কিছুটা কমেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যদি সব সময় তৎপর থাকে, তাহলে মাদক আরও কমে আসবে।' কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, 'আমরা মাদকের ওপর জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করছি। পুলিশ সদস্যরা অনেক পরিশ্রম করছে। যার কারণে ব্যাপক পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতে সক্ষম হচ্ছি। এখানে যারাই মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকবে, আমরা তাকেই আইনের আওতায় আনব।'