সিএসসিএসএস'র উদ্যোগে সেমিনার

প্রকাশ | ১১ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
এশিয়ার ভূ-রাজনীতি, ও যোগাযোগ বিষয়ক সেমিনার বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ এবং দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতি ও যোগাযোগকে কেন্দ্র করে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চায়না-সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর সোশিও-কালচারাল স্টাডিজ (সিএসসিএসএস)-এর উদ্যোগে রোববার একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট হলে আয়োজিত সেমিনারে আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতি বোঝার ক্ষেত্রে যোগাযোগের মুখ্য ভূমিকার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়। ড. আনিস রহমান, ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন, সিয়াটলের যোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক সেমিনারে মূল বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ-এর ফলে ভূ-রাজনীতি কিভাবে প্রভাবিত হচ্ছে তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন। সেমিনারের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সিএসসিএসএস-এর সমন্বয়কারী এবং এমসিজে প্রোগ্রামের সহযোগী অধ্যাপক ড. হারিছুর রহমান। সভায় মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলের ভারপ্রাপ্ত ডিন এবং এসআইপিজির পরিচালক অধ্যাপক এসকে তৌফিক এম হক এবং রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রাণবন্ত প্রশ্ন-উত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করেন। ড. আনিস রহমান তার বক্তব্যে বলেন, বিআরআই চীনের নেতৃস্থানীয় বৈশ্বিক অবস্থান পুনরুদ্ধারে, একটি নিছক ব্র্যান্ডিং অনুশীলন করে। চীনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এটি অতীতের চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতিগুলো প্রণয়ন করে। ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক অনুশীলনের বিপরীতে, চীনের কৌশলটি স্বতন্ত্র, আধিপত্যবাদী নীতির পরিবর্তে সহযোগিতার উপর জোর দেয়। ম্যাকমোহন লাইনের আগে চীন ও ভারতের মধ্যে ঐতিহাসিক সমঝোতা, পুনর্মিলন এবং সহযোগিতার সম্ভাবনাকে চিত্রিত করে। সিএসসিএসের পরিচালক অধ্যাপক এসকে তৌফিক এম হক বলেন, চীনের মিডিয়া উপস্থিতি, সিএনএন বা আল জাজিরার তুলনায় আরও অনুসন্ধানে আগ্রহী। তিনি আরও বলেন, ব্রিকস পস্ন্যাটফর্মও ভারত ও চীনের অভিন্ন ভিত্তি তুলে ধরে, সেই সঙ্গে সম্ভাব্য সহযোগিতা ও সমাধানের আশ্বাস দেয়। এছাড়াও, অধ্যাপক নুরুজ্জামান ২০০৮-এর বিশ্বব্যাপী মন্দার পরবর্তী সময়ে বিআরআই এবং চীনের কৌশলগত অর্কেস্ট্রেশনের উপর জোর দেন। তিনি বলেন, বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে চীনের পুনরুত্থান তার ঐতিহাসিক মর্যাদার প্রতিধ্বনি করে, যা চ্যালেঞ্জিং হলেও সম্পূর্ণরূপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যকে স্থানচু্যত করে না। যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার, উদারতাবাদ এবং গণতন্ত্রের মতো মূল্যবোধকে প্রাধান্য দেয়, চীন সেখানে "মানবতার জন্য ভবিষ্যত"-এর প্রতি গুরুত্ব দেয়। সিএসসিএসএস-এর ধারাবাহিক সেমিনারের অংশ হিসেবে রোববারের সেমিনারে চীন, দক্ষিণ এশিয়াসহ অন্যান্য অঞ্চলের সাংস্কৃতিক, ভূ-রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়। সিএসসিএসএস-এর অন্যতম উদ্দেশ্য আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক পরিস্থিতি বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে আন্তঃজ্ঞানকান্ডীয় গবেষণা এবং সংলাপকে উৎসাহিত করা। চীন-দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সেন্টারটি এনএসইউতে প্রায়োগিক গবেষণার মাধ্যমে সামাজিক-সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক বিষয়ের একাডেমিক অধ্যয়নের জন্য একটি আন্তঃজ্ঞানকান্ডীয় উদ্যোগ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি