শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১
চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলার ভোলাহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় কমিটির সদস্যদের প্রস্তাব সমর্থনে আওয়ামী লীগের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে। চার ইউনিয়ন ও বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকরা বর্ধিত সভায় প্রার্থিতা চূড়ান্ত করেছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে অন্য প্রার্থীরা 'প্রহসনের বর্ধিত সভা' উলেস্নখ করে সভা ত্যাগ করে চলে যান।
জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. আশরাফুর হক চুনুর সভাপত্বিতে শনিবার ভোলাহাট মোহবুলস্নাহ মহাবিদ্যালয় মিলনায়তনে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কমিটির সদস্য ও উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। চেয়ারম্যান পদে ছয়জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন দলীয় সমর্থন প্রত্যাশী ছিলেন। একপর্যায়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল গাফ্ফার মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রাব্বুল হোসেন এবং সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলামসহ তাদের পক্ষের নেতারা সভা থেকে বের হয়ে যান। যারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোট করেছিলেন তাদের বর্ধিত সভার চিঠি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন আলী শাহ জানান, বর্ধিত সভায় সবার মতামতের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলদলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আরজেদ আলী (ভুটু) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাদি বিশ্বাসকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল গাফ্ফার মুকুল বলেন, 'বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি উপজেলা নির্বাচনকে প্রতিযোগিতা ও নেতৃত্ব বাছাইয়ের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে। এই নির্বাচনকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। যার ইচ্ছা নির্বাচন করবেন।'
তিনি আরও বলেন, 'জেলা বা উপজেলা কাউকে মনোনয়ন দিতে পারবে না। এমপি-মন্ত্রী এমনকি জেলা-উপজেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে পারবেন না। আজকে যে নাটক হচ্ছে, এটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি অবমাননাকর সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করি না। আমি নিজে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা নির্বাচন করব।'
সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্ব গড়ার জন্য উপজেলা নির্বাচনকে উন্মুক্ত ঘোষণা করেছেন। কিন্তু ভোলাহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা সহ-সভাপতি নিজেদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেন। আজকেও তারা কিছু দলীয় নেতাকর্মীদের ভুল বুঝিয়ে প্রস্তাব সমর্থনের মাধ্যমে প্রতারিত করে একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। যা দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের পরিপন্থি।' বর্ধিত সভায় উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী চূড়ান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে সহ-সভাপতি আফরাজুল হক বাবু জানান, 'এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।'
Google News ফিড অনসরণ করুন
