রংপুরে একযুগে সোয়া এক হাজার কোটি টাকার অবকাঠামো উন্নয়ন

প্রকাশ | ১১ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

আবেদুল হাফিজ, রংপুর
রংপুরের ৮ উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পে বিগত ১৩ বছরে ১ হাজার ২৭২ কোটি ৪৭ লাখ ৭৫ হাজার ৫১৯ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এর পাশাপাশি আশ্বিন কার্তিক মাসে বেকার শ্রমজীবী মানুষকে কাজের বিনিময় খাদ্য কর্মসূচি ও গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণে এক লাখ দুই হাজার ২৫৮ মণ চাল দেওয়া হয়ে থাকে। এসব কাজের ৬৪ হাজার প্রকল্প ছিলো ১৫৫টি। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করেছে রংপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্তৃপক্ষ। রংপুর জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তা মোতাহার হোসেনের দেওয়া তথ্য উপাত্তে জানা গেছে, গ্রামীণ জনগোষ্ঠির উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার বিভিন্ন প্রকল্প দিয়ে থাকে। এর মধ্যে কাজের বিনিময়ে টাকা, কাজের বিনিময়ে খাদ্য, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষাণাবেক্ষণ, চলিস্নশ দিনের কর্মসূচি, গৃহহীন ও ভূমিহীনদের পূনর্বাসন, সেতু কালভার্ট নির্মাণ, ইট বিছানো রাস্তা রয়েছে। রংপুরের ৮ উপজেলার স্বল্পমেয়াদী কর্মসংস্থানের মাধ্যমে কর্মক্ষম গ্রামীণ এলাকার অতিদরিদ্র ও মৌসুমী বেকার শ্রমিক পরিবারের জন্য ৪০ দিনের কর্মসূচি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে ৯ হাজার ৬৯৫টি কাজের বিনিময় খাদ্য কর্মসূচিতে ৪৬ হাজার ৪১৮ দশমিক ৩৭২ মেট্রিক টন চাল, কাজের বিনিময় টাকা কর্মসূচিতে ৩১২ কোটি ৬২ লাখ ৩৫ হাজার ৭৮০ টাকা, ৩৯ হাজার ৭৯৩টি গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টেস্ট রিলিফ) জন্য ১৫২ কোটি ৬৪ লাখ ১৬ হাজার ৬০২ টাকা, ৫২০টি সেতু-কালভার্ট তৈরিতে ১৩০ কোটি ৮২ লাখ ৩০ হাজার ৪০৮ টাকা, ১৬ হাজার ৫৫৪টি ৪০ দিনের কর্মসূচির বিপরীতে ৪২৪ কোটি ৮৭ লাখ ৯৯ হাজার ৬৭৩ টাকা ৭০টি ইট বিছানো সড়ক তৈরিতে ২৯ কোটি ৯১ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৬ টাকা এবং ৬৩২ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের ঘর নির্মাণের জন্য ১৭ কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার ৯৭ টাকা বিতরণ করা হয়। রংপুর সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ মাটির রাস্তাসহ গ্রামীন অবকাঠামো নির্মাণে দরিদ্রজনগোষ্ঠি আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে। এতে দারিদ্র বিমোচনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তারাগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন জানান, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের ফলে গ্রামীণ জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হয়েছে। আশ্বিন কার্তিক মাসে তেমন একটা কাজ থাকেনা। ওই সময়ে বেকার শ্রমজীবী মানুষের জন্য চলিস্নশ দিনের কর্মসূচি, কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি ও কাজের বিনিময়ে টাকার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে নদী নালা খনন করা হয়েছে। যা আগে তেমন একটা ছিল না।