শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১

সারিয়াকান্দিতে সংযোগ সড়ক না থাকায় কাজে আসছে না ৩টি ব্রিজ

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
  ১১ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে সংযোগ সড়ক না থাকায় অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকা সেতু -যাযাদি

বগুড়ার সারিয়াকান্দি পৌরসভার কৈয়ার পাড়ায় ৩ ব্রিজ নির্মাণের প্রায় এক বছর অতিবাহিত হলেও দুই পাশে মাটি ভরাটসহ সংযোগ সড়ক না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।

২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর পৌর এলাকার কৈয়ার পাড়া মসজিদ হতে দেলুয়াবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত একটি সড়কের পুর্ন নির্মাণ ও মেরামত কাজের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান।

সংযোগ সড়কটির নির্মাণকাল ছিল ২০২৩ সাল। এই কাজটির ব্যয় ধরা হয়েছে দুই কোটি ৫৭ লাখ টাকা। রাস্তা ও ব্রিজের কাজটিতে অর্থায়ন করছে, বাংলাদেশ সরকার ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। ২০২৩ সালে কাজটির সমাপ্তির কথা থাকলেও, সামান্য কিছু কাজ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কয়েক মাস আগে কাজটি বন্ধ রেখে চলে গেছে।

এলাকাবাসী জানায়, দুই গ্রামের প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ উপজেলা সদরে যাওয়া-আসার জন্য দীর্ঘদিনের চাওয়া ছিল সড়ক ও ব্রিজ। ব্রিজগুলো নির্মিত হলেও দুর্ভোগ কমেনি এলাকাবাসীর। সংযোগ সড়ক নির্মিত না হওয়ায় তাদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে।

ব্রিজগুলো নির্মিত হলেও তারা ব্যবহার করতে পারছে না। তার উপর তাদের যে পায়ে হাটার রাস্তা রয়েছে সেটিও বর্ষায় ছয় মাস পানিতে ডুবে থাকে। এ কারনে এলাকার লোকজন ভিন্ন সড়ক দিয়ে ৩গুন বেশি ঘুরে উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন।

রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী আবুল হোসেন জানান, 'আগে ব্রিজ ছিল না। তখন যেভাবে বর্ষা মৌসুমী নৌকায় ও কাপড় ভিজিয়ে রাস্তা পাড় হয়েছি, ব্রিজ নির্মাণের পরও একই অবস্থা।'

আকবর আলী বলেন, 'এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি ছিল ব্রিজগুলো। কিন্তু ব্রিজগুলো নির্মিত হলেও এর কোন সুফল আমরা পাচ্ছি না। রাস্তা না থাকায় রোগী, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের যাতায়াত দুরূহ হয়ে পড়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মাটি ভরাট না করেই চলে যায়।'

নির্মাণকাজের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ফয়েজ মিয়া জানান, 'কাজ তো করতেই হবে। কাজ আমি করবো, অফিসিয়াল কিছু ঝামেলা আছে। কাজের বিল আছে, এগুলো পেলেই শিগগিরই কাজ শুরু করব।'

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র মতিউর রহমান মতি বলেন, 'কাজটি বন্ধ থাকায় ওই এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। আমি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলব কাজটি শেষ করে এলাকাবাসীকে এ দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।'

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রকল্প অফিসার তারিফুল ইসলাম বলেন, 'কাজের ব্যাপারে কিছু সমস্যা ছিল। এখন মিটে গেছে। ৭ দিনের ভেতর কাজ শুরু করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হবে। যদি কাজ শুরু না করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে