শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহম্মেদ পলক বলেছেন, 'জীবন কানক্টেভিটি হবে বিটিসিএলর লাইফ লাইন। এই একটি প্যাকেজ, যা দিয়ে আমরা বিটিসিএলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারব। উচ্চ গতিসম্পন্ন এই প্যাকেজ সারাদেশে চার লাখ মানুষের মধ্যে দেওয়া হবে। মাত্র ৩০০ টাকায় ৬ এমবিপিএস, ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস, এক হাজার টাকায় ২০ এমবিপিএস গতিসম্পন্ন লাইন গ্রাহকদের দেওয়া হবে। এরপরও বিটিসিএল লাভের মুখ না দেখলে ভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেবার মান বাড়িয়ে বিটিসিএলের প্রতিবছর ১৫০-২০০ কোটি লোকসান বন্ধ হবে।'
রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মেহেরপুর বিটিসিএল কার্যালয়ে উচ্চ গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট জীবন কানেক্টভিটির উদ্বোধনের সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কথাগুলো বলেন তিনি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, 'টেলিটকের ৪৮ লাখ গ্রাহকের যে সিম এক্টিভিট আছে, তাদের সমস্যা দূর করার জন্য জাদুকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলালিঙ্কের সঙ্গে এক্টিভ নেটওয়ার্ক শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে উচ্চ গতিসম্পন্ন নেটওয়ার্ক পাচ্ছি। সেখানে ইন্টারনেট ভালো পাচ্ছি, ভয়েস কলও ভালো হচ্ছে। টেলিটকের নেটওয়ার্ক না থাকলেও আমরা সব ধরনের সুবিধা এখান থেকে পাচ্ছি। আগামী স্বাধীনতা দিবসের আগেই পাইলটিং প্রোগ্রাম শেষ হবে। পরে সারাদেশে এটি ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রথমে বাংলালিঙ্ক ও পরে জিপি, রবির সঙ্গে টেলিটকের শেয়ারিং নেটওয়ার্ক চালু করা হবে।'
পরে মেহেরপুর ডাক ঘরের নতুন ভবন উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোস্তফা কামাল, ডাক বিভাগের খুলনা সার্কেলের পোস্ট মাস্টার জেনারেল সামসুল আলম, বিটিসিএললের উপমহাব্যবস্থাপক নারায়ণ চন্দ্র ঘরামী, জেলা প্রশাসক শামীম হাসান এবং পুলিশ সুপার এসএম নাজমুল হক।
Google News ফিড অনসরণ করুন
