বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

লোহাগড়ায় সংঘর্ষে আহত হুমায়ুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি
  ১০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
লোহাগড়ায় সংঘর্ষে আহত হুমায়ুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা শহরের লক্ষ্ণীপাশা চৌরাস্তা এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত হুমায়ুন ঠাকুর (৫০) ওরফে হুমাই ঠাকুর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ৯টার দিকে মারা গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত হুমায়ুন ঠাকুর লোহাগড়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কচুয়াবাড়িয়া এলাকার মৃত নিরু ঠাকুরের ছেলে। তিনি পেশায় একজন মাংস বিক্রেতা ছিলেন।

সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লক্ষ্ণীপাশা চৌরাস্তা এলাকার ঢাকা বাস কাউন্টারের সামনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৫ মার্চ রাতে লোহাগড়া পৌর এলাকার রাজুপুর গ্রামের ফারুক শেখের ছেলে হায়াতুরের নেতৃত্বে ৭ থেকে ৮ জনের একদল দুর্বৃত্ত ছ্যান দা, লাঠি, রামদা নিয়ে ঢাকা কাউন্টার এলাকায় এসে আবদুলস্নাহ ঠাকুর শিপলা (২৪) ও রুমানকে (২৭) মারধর করে। পরে দুইপক্ষের লোকজন জড়ো হয়ে লক্ষ্ণীপাশা-মহাজন সড়কের লক্ষ্ণীপাশা আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের পূর্ব গেটের সামনে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হুমায়ুন ঠাকুরকে (৫০) মারাত্মক জখম করে।

স্থানীয় লোকজন আহত উদ্ধার করে প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে যশোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা দ্রম্নত তাকে প্রাইম হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তিন দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার হুমায়ুন ঠাকুর মৃতু্যর কোলে ঢলে পড়েন।

এ বিষয়ে কাশীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মতিয়ার রহমান মাংস ব্যবসায়ী হুমায়ুন ঠাকুরের মৃতু্যর ঘটনায় শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

লোহাগড়া থানার ওসি কাঞ্চন রায় বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় রাজুপুর এলাকার হায়াতুর শেখ ও হামীম শেখ নামে দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় গত ৬ মার্চ দায়েরকৃত মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে